উত্তর : প্রত্যেক কর্মচারী কোম্পানীর সঙ্গে যে নির্ধারিত সময়ের জন্য ও সুনির্দিষ্ট চুক্তি বা শর্ত সাপেক্ষে নিযুক্ত হয়েছেন, সেই নিয়োগবিধি ও চুক্তিপত্র অনুযায়ী কাজ করা অপরিহার্য। শরী‘আতসম্মত কারণ ব্যতীত এর ব্যতিক্রম করা বৈধ নয়, বরং পরিপূর্ণরূপে দায়িত্ব পালন করা অত্যাবশ্যক। নিশ্চয় চুক্তিভঙ্গ করা মুনাফিক্বের নিদর্শন। সুতরাং অবশ্যই আপনাকে দাপ্তরিক সময়ের মধ্যেই কার্যালয়ে প্রবেশ করতে হবে এবং নিয়মানুযায়ী আধিকারিকদের অনুমতি ব্যতীত অফিস থেকে বের হওয়া অবৈধ। এমনকি কার্যালয়ের নির্ধারিত সময়ে কর্মীদের ব্যক্তিগত ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অফিস থেকে বের হওয়াও নাজায়েয। কেননা এটি প্রকাশ্য খিয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা’ (দ্র. : ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৫তম খ-, পৃ. ১৫৩-১৫৪, ১২৫-১২৬, ১৫১ ও ২৩ তম খণ্ড, পৃ. ৪১৫)। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এরূপ করা জায়েয নয়। বরং তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্যালয়ের নির্ধারিত কাজেই নিয়োজিত থাকবেন। তবে হ্যাঁ, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ব্যক্তিগত কোন কাজ করা যেতে পারে’ (ইবনু বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ১৯তম খণ্ড, পৃ. ২৭০)।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে’ (সূরা আন-নিসা : ৫৮)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা সকলেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই অধীনস্থদের দায়িত্ব সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হবে।.... কর্মচারী তার মনিবের ধন-সম্পদের রক্ষক, তাকেও তার মনিবের ধন-সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৮৯৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১৮২৯)।
প্রশ্নকারী : সাকলাইন সজীব, বগুড়া।