উত্তর : মানুষের অধিকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে তওবাহ করার পূর্বে হক্বদারের নিকট তার হক্ব ফিরিয়ে দিতে হবে অথবা তার কাছ থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিতে হবে। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলমের জন্য দায়ী থাকে অথবা যে তার কোন ভাইয়ের মান-সম্মান ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে যুলম করেছে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সেদিন আসার পূর্বেই যেদিন তার কোন দীনার বা দিরহাম থাকবে না। সেদিন তার কোন সৎকর্ম থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে, আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে হক্বদারের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে (ছহীহ বুখারী, হা/২৪৪৯, ৬৫৩৪; তিরমিযী, হা/২৪১৯)।
ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মালিকের অনুমতি ব্যতীত কোন জিনিস নিলে তা ফিরিয়ে দেয়া অপরিহার্য’ (যাদুল মা‘আদ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৬৯০)। শায়খ ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘কারোর কিছু চুরি করলে, তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলতে হবে যে, ‘আপনার এই মালটা আমার কাছে থেকে গিয়েছিল। অতএব আপনি তা ফেরত নিন’। এভাবে বলে দু’জনের মধ্যে সমাধান করে নিতে হবে। আর যদি সাহস করে বলতে না পারে অথবা যদি অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার ভয় থাকে, তবে অন্য যে কোন পদ্ধতিতে উক্ত মাল মালিকের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৬২; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৮৩০৯৯)। আর যদি চুরির মালের পরিমাণ সম্পর্কে সঠিক হিসাব না থাকে, তাহলে প্রবল ধারণার উপর ভিত্তি করে তা থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবে এবং সতর্কতামূলক আধিক্যকে প্রাধান্য দেবে। যেমন যদি ১০ ও ৮ এর মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়, তবে ১০ কে ধরবে, তাহলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৮৩০৯৯)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল আলীম, সূত্রাপুর, ঢাকা।