উত্তর : জুমু‘আর খুতবাহ, ঈদের খুৎবা ব্যতীত অন্য কোন বৈঠকে রাসূল (ﷺ) লাঠি হাতে নিয়ে আলোচনা করেছেন মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না, শুধু জুমুআর খুতবায় লাঠি হাতে ছিল এটাই হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। আল-হাকাম ইবনু হাযন আল-কুলাফী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,
وَفَدْتُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَأَقَمْنَا بِهَا أَيَّامًا شَهِدْنَا فِيْهَا الْجُمُعَةَ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَقَامَ مُتَوَكِّئًا عَلَى عَصًا أَوْ قَوْسٍ فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ كَلِمَاتٍ خَفِيفَاتٍ طَيِّبَاتٍ مُبَارَكَاتٍ ثُمَّ قَالَ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ لَنْ تُطِيْقُوْا أَوْ لَنْ تَفْعَلُوْا كُلَّ مَا أُمِرْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ سَدِّدُوْا وَأَبْشِرُوْا
‘আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট যাই এবং আমরা বেশ কয়েকদিন (মদীনাতে) অবস্থান করলাম। এ সময় আমরা (ﷺ)-এর সাথে জুমু‘আহর ছালাতও আদায় করেছি। জুমু‘আহর খুত্ববায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি লাঠি অথবা ধনুকের উপর ভর দিয়ে পবিত্র ও বরকতপূর্ণ কথার দ্বারা আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং তাঁর কতক হালকা, উত্তম ও পবিত্র গুণাবলী বর্ণনা করেন। অতঃপর বলেন, হে জনগণ! তোমাদেরকে যা কিছুর আদেশ দেয়া হয়েছে সে সবের প্রতিটি নির্দেশই তোমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে সক্ষম হবে না। কাজেই তোমরা নিজেদের আমলের উপর অটল থাক এবং সুসংবাদ প্রদান করো’ (আবূ দাঊদ, হা/১০৯৬; ছহীহ ইবনু খুযাইমাহ, হা/১৪৫২)। অনুরূপভাবে দাঁড়িয়েই আলোচনা করতে হবে মর্মে সুস্পষ্ট ছহীহ কোন প্রমাণ নেই, জুমু‘আর খুতবায় ‘দাঁড়ানো’ শর্ত, যেটা অন্য কোথাও শর্ত নয় (আল মাজমূ লিন-নববী, ৪/৫১৪-৫১৫; রওযাতু তালেবীন, ২/২৬)। জুমু‘আর খুতবা ছাড়া অন্য আলোচনা নিজের সুবিধানুপাতে দাঁড়িয়ে বা বসে আলোচনা করবে।
প্রশ্নকারী : আব্দুল মালেক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর।