উত্তর : স্ত্রী যদি অন্যায়, অপকর্ম ও পাপাচারে লিপ্ত থাকে তাহলে তা দেখা বা জানার পরও স্বামীর জন্য নীরবতা অবলম্বন করা বা স্ত্রীর উপর দায়-দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চুপচাপ বসে থাকা জায়েয নয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা স্বামীকে স্ত্রীর উপর কর্তৃত্ববান ও দায়িত্বশীল বানিয়েছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘পুরুষরা নারীদের কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং এজন্যে যে, পুরুষ তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যময়ী নারীরা অনুগতা এবং পুরুষের অনুপস্থিতিতে লোক-চক্ষুর অন্তরালে (স্বামীর ধন ও নিজেদের ইজ্জত) রক্ষাকারিণী, আল্লাহর হিফাজতে (তাওফীক্বে) তারা তা হিফাজত করে। আর স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং তাদেরকে প্রহার কর। অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগতা হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোন পথ অন্বেষণ কর না। নিশ্চয় আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, মহান। আর তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধের আশংকা করলে তোমরা স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিশ নিযুক্ত কর, তারা উভয়ে নিস্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসার অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবিশেষ অবহিত’ (সূরা আন-নিসা : ৩৪-৩৫)।
এই দায়িত্ব পালন করা স্বামীর জন্য ফরয। সে যদি এ ক্ষেত্রে অবহেলা প্রদর্শন করে তাহলে অবশ্যই গুনাহগার হবে এবং আখিরাতে আল্লাহর কাঠগড়ায় জিজ্ঞাসার সম্মুখীন হতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘জেনে রেখো! তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। .... নারী তার স্বামীর পরিবার, সন্তান-সন্ততির উপর দায়িত্বশীল, সে এসব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব জেনে রাখ, প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বাধীন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে (ছহীহ বুখারী, হা/৭১৩৮, ২৫৫৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১৮২৯; আবূ দাঊদ, হা/২৯২৮)।
প্রশ্নকারী : আবূ হুরায়রা সিফাত, মান্দা, নওগাঁ।