বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
উত্তর : স্ত্রী যদি অন্যায়, অপকর্ম ও পাপাচারে লিপ্ত থাকে তাহলে তা দেখা বা জানার পরও স্বামীর জন্য নীরবতা অবলম্বন করা বা স্ত্রীর উপর দায়-দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চুপচাপ বসে থাকা জায়েয নয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা স্বামীকে স্ত্রীর উপর কর্তৃত্ববান ও দায়িত্বশীল বানিয়েছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘পুরুষরা নারীদের কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং এজন্যে যে, পুরুষ তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যময়ী নারীরা অনুগতা এবং পুরুষের অনুপস্থিতিতে লোক-চক্ষুর অন্তরালে (স্বামীর ধন ও নিজেদের ইজ্জত) রক্ষাকারিণী, আল্লাহর হিফাজতে (তাওফীক্বে) তারা তা হিফাজত করে। আর স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং তাদেরকে প্রহার কর। অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগতা হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোন পথ অন্বেষণ কর না। নিশ্চয় আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, মহান। আর তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধের আশংকা করলে তোমরা স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিশ নিযুক্ত কর, তারা উভয়ে নিস্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসার অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবিশেষ অবহিত’ (সূরা আন-নিসা : ৩৪-৩৫)।

এই দায়িত্ব পালন করা স্বামীর জন্য ফরয। সে যদি এ ক্ষেত্রে অবহেলা প্রদর্শন করে তাহলে অবশ্যই গুনাহগার হবে এবং আখিরাতে আল্লাহর কাঠগড়ায় জিজ্ঞাসার সম্মুখীন হতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘জেনে রেখো! তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। .... নারী তার স্বামীর পরিবার, সন্তান-সন্ততির উপর দায়িত্বশীল, সে এসব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব জেনে রাখ, প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বাধীন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে (ছহীহ বুখারী, হা/৭১৩৮, ২৫৫৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১৮২৯; আবূ দাঊদ, হা/২৯২৮)।


প্রশ্নকারী : আবূ হুরায়রা সিফাত, মান্দা, নওগাঁ।





প্রশ্ন (১৫) : ছিয়াম পালনকারী নাকে, কানে ও চোখে ড্রপ দিলে ছিয়াম নষ্ট হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : সমাজে এমন কিছু ব্যক্তি আছে, যারা ছালাত আদায় করে না, শুধু ঈদের ছালাত আদায় করে। কিছু ব্যক্তি আছে, তারা শুধু জুমু‘আর ছালাত আদায় করে। আবার কিছু ব্যক্তি আছে, যারা দৈনিক ২, ৩, ৪ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে। এই তিন ব্যক্তি সম্পর্কে হাদীছ ও সালাফে ছালেহীন কী ফৎওয়া দিয়েছেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : জনৈক আলেম বলেন, ছোট বেলায় হাসান ও হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) জামার জন্য কাঁদতে থাকলে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাঁদের জন্য লাল ও সবুজ দু’টি জামা আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ে এসেছিলেন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : মসজিদে ছালাতের জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিমে কোনাকুনি তিন দিকে সরকারী রাস্তা হওয়ায় সে সব দিকে মাসজিদ বাড়ানোর সুযোগ নেই। আর দক্ষিণ দিকে পুরানো গোরস্থান। দক্ষিণ দিকে মাসজিদ বাড়াতে গেলে বহু পুরাতন ৩/৪ টি কবর পড়ছে। যা প্রায় ২০/২৫ বছর আগের। এক্ষণে উক্ত কবরগুলো মূল গোরস্থানে স্থানান্তরিত করে দক্ষিণ দিকে মাসজিদ সম্প্রসারণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : আরবী সফর মাসকে কেন্দ্র করে প্রচলিত কুসংস্কার ও বিদ‘আতগুলো কী কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : জিনরাও কি মৃত্যুবরণ করে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : জনৈক বক্তা বলেন, আশূরার দিনেই ক্বিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : ইমু, ওয়াট্সআপ ও ভয়েস মেসেজে কেউ সালাম জানালে এর উত্তর দেয়া কি ওয়াজিব? উত্তর দিতে হলে কিভাবে দিবে এবং কখন দিবে? সালাম দাতাকে ভয়েস মেসেজে বা লিখে দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : সফরে সর্বোচ্চ কতদিন পর্যন্ত ক্বছর করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ছাদাক্বাতুল ফিতর মিসকীনকে দিতে হবে। এই মিসকীন বলতে কাকে বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : কোন ব্যক্তি যদি কুরআনের মুছহাফ ব্যতীত মুখস্থ কুরআন তেলাওয়াত করে, তাহলে তার জন্য এক হাযার মর্যাদার সমান নেকী রয়েছে। আর যদি মাছহাফে কুরআন পড়া মুখস্থ পড়ার চেয়ে দুই হাজার মর্যাদার সমান রয়েছে (ত্বাবারাণী, আল-জামেঊল কাবীর হা/৬০১)। বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : খিযির (আলাইহিস সালাম) কি নবী ছিলেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ