শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
উত্তর : শাওয়াল মাসে বিবাহ করা সুন্নাত এমন ধারণা সঠিক নয়। কারণ শরী‘আতে বিশেষ কোন মাস বা দিনকে নির্দিষ্ট করা হয়নি। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর বিয়ে হয়েছিল শাওয়াল মাসে। উরওয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,

تَزَوّجَنِيْ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فِيْ شَوّالٍ وَبَنَى بِيْ فِيْ شَوّالٍ فَأَيّ نِسَاءِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّيْ؟

‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে শাওয়াল মাসেই বিয়ে করেছেন এবং শাওয়াল মাসেই আমার বাসর করেছেন। সুতরাং তাঁর নিকটে আমার চেয়ে অধিক সৌভাগ্যবতী স্ত্রী আর কে আছে’? (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪২৩; মিশকাত, হা/৩১৪২)।

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর এ কথার উদ্দেশ্য হল, জাহেলী যুগের মানুষের এই ধারণা ছিল যে, শাওয়াল মাসে বিবাহ-শাদির অনুষ্ঠান অশুভ ও অকল্যাণকর। তিনি এ কথার মাধ্যমে এ ভিত্তিহীন ধারণাকে খণ্ডন করেছেন (শারহে ছহীহ মুসলিম, ৯/২০৯ পৃ.)।

বাস্তবতা হল, রাসূল (ﷺ) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে যেমন শাওয়াল মাসে বিয়ে করেছেন তেমনি অন্যান্য মাসে অন্যান্য স্ত্রীদেরকে বিয়ে করেছেন। যদি শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নাত হত, তাহলে সবগুলো বিয়ে তিনি এ মাসে করার চেষ্টা করতেন বা উম্মতকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন। আর ছাহাবীগণও এ মাসেই বিয়ে করার চেষ্টা করতেন। যেহেতু তারা ছিলেন সুন্নাহ পালনে সবচেয়ে অগ্রগামী। কিন্তু হাদীছে এমন কিছু সাব্যস্ত হয়নি। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর উক্ত হাদীছের আলোকে শাফেয়ী মাযহাবের বরাতে এ মাসে বিয়ে করাকে মুস্তাহাব বলেছেন। কিন্তু অন্য মুহাদ্দিছগণ তার জবাব দিয়েছেন। যেমন ইমাম শাওকানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

حُكمٌ شرعيٌّ يَحتاجُ إلى دليلٍ، وقد تزوَّجَ ﷺ بنسائهِ في أوقاتٍ مُختلفةٍ على حَسَبِ الاتفاقِ، ولم يَتحرَّ وقتاً مخصوصاً، ولو كان مُجرَّدُ الوقوعِ يُفيدُ الاستحبابَ لكان كُلُّ وقتٍ من الأوقاتِ التي تزوَّجَ فيها النبيُّ ﷺ يُستحبُّ البناءُ فيه، وهو غيرُ مُسلَّمٍ

‘এটি একটি শরঈ বিধান, যার পক্ষে দলীল প্রয়োজন। নবী (ﷺ) ঘটনাচক্রে বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রীদেরকে বিয়ে করেছেন। তিনি বিশেষ কোনও সময় অনুসন্ধান করেননি। শাওয়াল মাসে রাসূল (ﷺ)-এর সাথে আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর সাথে বিয়ে সংঘটিত হওয়ার কারণেই যদি এ মাসে বিয়ে করাকে মুস্তাহাব বলতে হয়, তাহলে নবী (ﷺ) অন্য যত সময় বিয়ে/বাসর করেছেন সেগুলোকেও মুস্তাহাব বলতে হবে। কিন্তু এ কথা গ্রহণযোগ্য নয়’ (নায়লুল আওত্বার, ৬/২২৫ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : আরাফাত, বনপাড়া, নাটোর।





প্রশ্ন (১০) : একজন মহিলা হয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতার চাকুরী করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : পরীক্ষার হলে অন্য সহপাঠী পরীক্ষার্থী যদি প্রশ্নের উত্তর ইচ্ছা করে বলে দেয় অথবা হলে শিক্ষকরা উত্তর বলে সাহায্য করে দেন তাহলে প্রতারণ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : কুরআনের হাফিয ১০/৭০ জনের জন্য সুপারিশ করবে এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : ছিয়াম পালনকারীর রক্ত পরীক্ষা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : মক্কায় একদিনের ছিয়াম বাইরের এক লক্ষ ছিয়ামের সমতুল্য। সেখানে এক দেরহাম খরচ করলে এক লক্ষ দেরহামের সমান এবং একটি নেকী করলে এক লক্ষ নেকীর সমান ছওয়াব পাওয়া যায়। বিভিন্ন হাদীছে মসজিদে নববীর ছওয়াব সমজিদে আক্বছার চেয়ে অধিক এসেছে। অথচ এখানে উভয় মসজিদের ছওয়াব পঞ্চাশ হাজার বলা হয়েছে। এর অর্থ করা হয়েছে, প্রত্যেক মসজিদের ছওয়াব পূর্ববর্তী মসজিদ হিসাবে বলা হইয়াছে অর্থাৎ জামে মসজিদের ছওয়াব পাঁচশ’ ছালাত নয়, বরং মহল্লার মসজিদ হতে পাঁচশ’ গুণ বেশী। এই হিসাব মতে জামে মসজিদে বার হাজার পাঁচশ’ (১২৫০০) ছালাতের ছওয়াব। মসজিদে আকছার ছওয়াব বাষট্টি কোটি পঞ্চাশ লক্ষ (৬২৫০০০০০০), মদীনার মসজিদের ছওয়াব তিন নিল বার খর্ব পঞ্চাশ আরব (৩১২৫০০০০০০০০০০) এবং হারাম শরীফের ছওয়াব একত্রিশ শঙ্ঘ পঁচিশ পদ্ম, (৩১২৫০০০০০০০০০০০০০০০) (ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ. ৯২)। তাবলীগী নিসাবের ‘ফাযায়েলে হজ্জ’ কিতাবে বর্ণিত উক্ত ফযীলত কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : মানতের খানা কি সবাই খেতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮): হাদীছে শুধু সোনা ও রূপার নিছাব বর্ণিত হয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা টাকার বা কাগুজে মুদ্রার নিছাব কিভাবে নির্ণয় করব, স্বর্ণের নিছাবের ভিত্তিতে, না-কি রৌপ্যের নিছাবের ভিত্তিতে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ’, ‘ইয়া হাবীবাল্লাহ’ বলা যাবে কি? যেমন- আমার আব্বু, দাদী এবং আত্মীয়-স্বজন অনেকের মুখে শুনি, তারা ভাত খাওয়ার পর বলেন ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ’, ‘ইয়া হাবীবাল্লাহ’। এমনকি তারা প্রায় সময় আল্লাহর যিকির না করে এইগুলো বলে থাকেন। এভাবে বললে কি শিরক হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : অমুসলিম পুরুষের সাথে মুসলিম নারীর বিবাহ কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ছালাতের শেষে সালাম ফিরানোর সময় কাকে সালাম দেয়া হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ‘সূরা ফাতেহা সকল রোগের ঔষধ’ কথাটি কি ঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : আল্লাহর তা‘আলার গুণবাচক নাম কতটি এবং সেগুলো মুখস্থের ফযীলত কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ