উত্তর : নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করতে হবে এটা আল্লাহর নির্দেশ (নিসা ১০৩)। আউওয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করা সর্বশ্রেষ্ঠ আমল (আবূ দাঊদ, হা/৪২৬)। আর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেটাই করেছেন। অন্যদিকে জামা‘আতে ছালাত আদায় করারও নেকী বেশী এবং মসজিদে হাযির হওয়ারও কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই উক্ত নির্দেশনা মেনেই ছালাত আদায় করতে হবে। তবে কোন স্থানে গিয়ে যদি দেখা যায় জামা‘আত দেরীতে হচ্ছে তাহলে তখন তাৎক্ষণিকভাবে দেরীতে জামা‘আতের সাথে পড়ে নেয়া যায় (আছ-ছামারুল মুস্তাত্বাব, ১/৯২ পৃ:)। কিন্তু মসজিদ কমিটি বা রাষ্ট্র যদি সঠিক সময় থেকে ছালাতকে স্থায়ীভাবে বিলম্ব করে পড়ার নিয়ম চালু রাখে তাহলে একাকী হলেও আওয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করা উত্তম। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অচিরেই এমন সব শাসক আসবে, যারা সময়মত ছালাত না পড়ে বিলম্ব করবে এবং ছালাতের সময় এত সংকীর্ণ করে ফেলবে যে, প্রায় সূর্য অস্তমিত হয়ে যাবে। তাদেরকে এরূপ করতে দেখলে তোমরা সময়মত ছালাত আদায় করে নেবে। তবে ইচ্ছা করলে তাদের সাথে পুনরায় নফল হিসাবে পড়তে পারবে (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৪৮; মিশকাত, হা/৬০০)। ইমাম খাত্ত্বাবী বলেন, ‘শুধু জামা‘আতের জন্য ছালাতকে বিলম্ব করা জায়েয নেই (যা সমাজে চলমান)’ (মা‘আলিম, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৩৫)।
প্রশ্নকারী : সেলিম, মাদারীপুর।