উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময়’ (সূরা আয-যুমার : ৪২)। তিনি আরো বলেন, ‘(হে নবী!) আপনি বলুন, তোমাদেরকে মৃত্যু দেবে মৃত্যুর ফেরেশতা, যাকে তোমাদের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে’ (সূরা আস-সাজদাহ : ১১)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘অবশেষে যখন তোমাদের কারো কাছে মুত্যু আসে, আমার প্রেরিত দূতগণ তার মুত্যু ঘটায়। আর তারা কোন ত্রুটি করে না’ (সূরা আল-আন‘আম : ৬১)। উপরিউক্ত আয়াতগুলোর আলোকে মুফাসসিরগণ বলেন, ‘প্রকৃত মুত্যুদাতা হলেন আল্লাহ তা‘আলা। এ কাজে নিযুক্ত হলেন মালাকুল মাওত ফেরেশতা, যার অসংখ্য সহযোগী ফেরেশতা রয়েছেন’ (ইবনু জারীর আত-তাবারী, তাফসীরে তাবারী, ১১তম খ-, পৃ. ৪১০)।
শায়খ ‘উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মালাকুল মাওত ফেরেশতার অসংখ্য সহযোগী রয়েছেন, যারা তাকে এ দায়িত্ব পালনে সহায়তা করেন। তারা আত্মাকে শরীরের ভিতর থেকে কণ্ঠনালি পর্যন্ত নিয়ে আসেন। অতঃপর মালাকুল মাওত ফেরেশতা তা গ্রহণ করেন’ (আশ-শারহুল মুমতি‘, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১১৪; আযওয়াউল বায়ান, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ২৯১)। মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মালাকুল মাওত ফেরেশতার জন্য গোটা যমীনকে গুটিয়ে একটি গামলার মত করে দেয়া হয়েছে। (অতি সহজেই) যেখান থেকে ইচ্ছা তিনি জান কবয করতে পারেন (তাফসীর ইবনু কাছীর, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৩৬১)।
প্রশ্নকারী : হাফিয মাসুদ রানা, চন্দ্রা, ঢাকা।