উত্তর : হাদীছ বা সুন্নাহ হচ্ছে শরী‘আতের মূল উৎসের অন্যতম, যা কুরআনের ব্যাখ্যা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُوْنَ ‘আর আমরা আপনার প্রতি ‘যিকর’ নাযিল করেছি মানুষকে ব্যাখ্যা করে দেয়ার জন্য, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে। যাতে তারা চিন্তা-গবেষণা করে’ (সূরা আন-নাহল : ৪৪)। অনুরূপভাবে আল্লাহ নিজেই তার বর্ণনা দিয়েছেন, যা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى- إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى ‘রাসূল নিজে হতে কিছুই বলেন না। কেবল সেটাই বলেন, যা তার নিকট ওহী করা হয়’ (সূরা আন-নাজম : ৩-৪)। এছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেও বলেছেন যে, তাকে কুরআন ও কুরআনের মত একটি কিতাব দেয়া হয়েছে (আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৪, সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/১৬৩, সনদ ছহীহ)। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত মুসলিমের ইজমা হয়েছে এ মর্মে যে, সুন্নাহ তথা হাদীছ দ্বীনের হুযযাত এবং শারঈ বিধানের এমন প্রমাণ, যার দ্বারা আমলগত বিধান সাব্যস্ত হয়। শুধু তাই নয়, কুরআনের সংরক্ষণ নির্ভরশীল সুন্নাহর সংরক্ষণের ওপর। কেননা তা (সুন্নাহ) তার (কুরআন) জন্য ব্যাখ্যাদাতা ও স্পষ্টকারী। তাই অধিকাংশ আহলুল ইলম বলেছেন যে, আল্লাহ সুন্নাহ হেফাযাত করেন তেমনি, যেমন হেফাযাত করেন কুরআন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُوْنَ ‘আমরা যিকর নাযিল করেছি এবং আমরাই এর হেফাযতকারী’ (সূরা আল-হিজর : ৯)। এখানে ‘যিকর’ শব্দটি কুরআন ও সুন্নাহ উভয়কে শামিল করে (সূরা আন-নাহল : ৪৪; ফাতাওয়া আশ-শাবাকাতিল ইসলামিয়াহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৮৪৮১)।
প্রশ্নকারী : যিয়াউর রহমান, টাঙ্গাইল।