শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
উত্তর : হাদীছ বা সুন্নাহ হচ্ছে শরী‘আতের মূল উৎসের অন্যতম, যা কুরআনের ব্যাখ্যা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُوْنَ ‘আর আমরা আপনার প্রতি ‘যিকর’ নাযিল করেছি মানুষকে ব্যাখ্যা করে দেয়ার জন্য, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে। যাতে তারা চিন্তা-গবেষণা করে’ (সূরা আন-নাহল : ৪৪)। অনুরূপভাবে আল্লাহ নিজেই তার বর্ণনা দিয়েছেন, যা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى- إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى ‘রাসূল নিজে হতে কিছুই বলেন না। কেবল সেটাই বলেন, যা তার নিকট ওহী করা হয়’ (সূরা আন-নাজম : ৩-৪)। এছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেও বলেছেন যে, তাকে কুরআন ও কুরআনের মত একটি কিতাব দেয়া হয়েছে (আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৪, সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/১৬৩, সনদ ছহীহ)। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত মুসলিমের ইজমা হয়েছে এ মর্মে যে, সুন্নাহ তথা হাদীছ দ্বীনের হুযযাত এবং শারঈ বিধানের এমন প্রমাণ, যার দ্বারা আমলগত বিধান সাব্যস্ত হয়। শুধু তাই নয়, কুরআনের সংরক্ষণ নির্ভরশীল সুন্নাহর সংরক্ষণের ওপর। কেননা তা (সুন্নাহ) তার (কুরআন) জন্য ব্যাখ্যাদাতা ও স্পষ্টকারী। তাই অধিকাংশ আহলুল ইলম বলেছেন যে, আল্লাহ সুন্নাহ হেফাযাত করেন তেমনি, যেমন হেফাযাত করেন কুরআন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُوْنَ ‘আমরা যিকর নাযিল করেছি এবং আমরাই এর হেফাযতকারী’ (সূরা আল-হিজর : ৯)। এখানে ‘যিকর’ শব্দটি কুরআন ও সুন্নাহ উভয়কে শামিল করে (সূরা আন-নাহল : ৪৪; ফাতাওয়া আশ-শাবাকাতিল ইসলামিয়াহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৮৪৮১)।

প্রশ্নকারী : যিয়াউর রহমান, টাঙ্গাইল।




প্রশ্ন (২৮) : কবরস্থানের গাছের ফলমূল ও পাতা খাওয়া বা ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ওহাবী কাদেরকে বলা হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : হজ্জ মানুষের পাপকে ধুয়ে দেয়, যেভাবে পানি ময়লাকে ধুয়ে দেয়। এই হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : একই পশুতে কুরবানী ও আক্বীক্বার নিয়ত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : কাউকে বিদায় দেয়ার সময় কোন্ দু‘আ পড়ার কথা হাদীছে এসেছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : জনৈক ইমাম বলেন, যে ব্যক্তি ক্বদরের রাত্রে চার রাক‘আত ছালাত আদায় করবে এবং প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহার পর ২১ বার করে সূরা ইখলাছ পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তিকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় করে দিবেন। আর তার জন্য জান্নাতে এক হাজার মনোরম বালাখানা তৈরি করা হবে (আশরাফ আলী থানবী, পূর্ণাঙ্গ নামাজ শিক্ষা, পৃঃ ৩০৯)। উক্ত মর্মে ছহীহ কোন বর্ণনা আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : কোন নবীর নামের আগে ‘হযরত’ বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : কোন ব্যক্তি যদি আরোগ্য লাভের আশায় নিজে কুরআন তেলাওয়াত করে বা কুরআন খতম করে পানিতে ফুঁ দিয়ে তা খায়, তাহলে জায়েয হবে কি? মৃত ব্যক্তির জন্য কি কুরআন খতম করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : মসজিদে জমি দান করার ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রশ্ন চলে আসে। যেমন ১. জমি কি রেজিস্ট্রেরি দিতে হবে, না-কি মৌখিকভাবে দিলেও চলবে? ২. জমি থেকে উৎপাদিত ফসল কমিটি বরাবর নিঃশর্তে ছেড়ে দেয়া যাবে কি? ৩. উক্ত মসজিদের অতিরিক্ত আয় বা সম্পদ অন্য কোন মসজিদে দেয়া যাবে কি? ৩. ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর পর ওয়ারিছগণ মসজিদ দেখাশুনা করতে পারবে না এমন আশঙ্কা থাকলে কেমন ব্যবস্থা নেয়া উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : বিধর্মীরা কত ভাগে বিভক্ত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : ‘যে ব্যক্তি কাতার মিলাবে, আল্লাহও তাকে তাঁর রহমত দ্বারা মিলাবেন। আর যে ব্যক্তি কাতার ভঙ্গ করবে, আল্লাহও তাকে তাঁর রহমত হতে কর্তন করবেন’। উক্ত হাদীছ কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : এক রাক‘আত বিতরের ছালাত আদায় করার প্রমাণ জানতে চাই? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ