বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১২:২৬ অপরাহ্ন
উত্তর: কোম্পানি যদি আপনার জন্য এভাবে মূল্য নির্ধারণ করে দেয় যে, এর চেয়ে বেশি দামে আপনি বিক্রি করতে পারবেন না, তাহলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রয় করা আপনার জন্য জায়েয হবে না। আর যদি কোম্পানি মূল্য নির্ধারণ করলেও এর চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে নিষেধ না করে, তাহলে আপনার জন্য বেশি দামে বিক্রি করা জায়েয হবে। উভয় অবস্থায় অতিরিক্ত অর্থ কোম্পানির প্রাপ্য অধিকার, আপনার জন্য সেটি গ্রহণ করা জায়েয হবে না। কারণ উকিল তার মক্কেলের স্বার্থে কারবার করবে; নিজের স্বার্থে নয়। এর দলীল হলো:

উরওয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) তাকে তাঁর জন্য একটি ছাগল কিনতে এক দীনার দেন। উরওয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এক দীনার দিয়ে তাঁর জন্য দু’টি ছাগল কিনেন। তারপর একটি ছাগল এক দীনারে বিক্রি করে দেন এবং এক দীনার ও একটি ছাগল নিয়ে নবী (ﷺ)-এর কাছে উপস্থিত হন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জন্য বরকতের দু‘আ করেন। এরপর থেকে উরওয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু) মাটি কিনলে তাতে লাভবান হতেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৬৪৩)। এক্ষেত্রে উরওয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু) নবী (ﷺ)-এর নিযুক্ত ক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ করতে পেরেছিলেন। লাভটা ছিল নবী (ﷺ)-এর জন্য। কারণ লাভ যদি উরওয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর জন্য হত, তাহলে নবী (ﷺ) সেটা গ্রহণ করতেন না।

ইবনু আব্দুল বার্র (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আলেমদের মাঝে কাউকে প্রতিনিধি নিযুক্তির বৈধতা সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই। তবে আলেমগণ মতভেদ করেছেন এ হাদীছের মর্মের ব্যাপারে যে, প্রতিনিধিকে যে বস্তু ক্রয় করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সে যদি এর চেয়ে বেশি কিছু কিনে আদেশদাতার জন্য কি সেটি গ্রহণ করা আবশ্যক হবে; না-কি হবে না? যেমন: এক ব্যক্তিকে আরেক ব্যক্তি বলল: আমার জন্য এই দিরহাম দিয়ে এক রত্বল এই ধরণের গোশত কিনে আনো। লোকটি তার জন্য ঐ দিরহাম দিয়ে চার রত্বল ঐ ধরনের গোশত কিনে আনল।

ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) ও তাঁর অনুসারীদের বক্তব্য অনুসারে: তার জন্য পুরোটা গ্রহণ করা আবশ্যক হবে; যদি গোশতের বৈশিষ্ট্য মিলে যায় এবং পরিমাণে বেশি এনে দেয়। কারণ সে তার প্রতি অনুগ্রহ করেছে। উল্লেখিত হাদীছটি এ বিষয়ে তাদের বক্তব্যকে সমর্থন করে এবং হাদীছটি জায়্যিদ (ভালো)। এ হাদীছে রয়েছে যে, নবী (ﷺ)-এর জন্য মেষ দু’টির মালিকানা সাব্যস্ত হয়েছে। এমনটি না হলে তিনি তার থেকে দীনার নিতেন না এবং তার বিক্রয়ে সম্মতিও প্রদান করতেন না’ (আত-তামহীদ, ২/১০৮ পৃ.)।

সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটিকে এই মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, ‘পণ্য তার দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা জায়েয হবে যদি এমনটি করা সম্ভব হয়। তবে লাভের মালিক হবেন পণ্যের মালিক। আর যদি মালিক নির্ধারিত দামের বেশি দামে পণ্য বিক্রি না করার শর্ত করেন, তাহলে মালিক যে দাম নির্ধারণ করেছেন কেবল সে দামেই বিক্রি করতে হবে’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমাহ, ১৩/৯৬ পৃ.)।

কিন্তু যদি কোম্পানি মূল্য নির্ধারণ করে দেয় এবং আপনার সাথে এই মর্মে চুক্তি করে যে, আপনি বেশি দামে বিক্রি করলে লাভটা আপনার জন্য, তাহলে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন এবং লাভ আপনার প্রাপ্য হবে। ইবনু কুদামা (রাহিমাহুল্লাহ) গ্রন্থে বলেন, ‘যদি সে বলে: এই কাপড় দশ দিরহাম দিয়ে বিক্রি করবে, এর অতিরিক্ত বিক্রি করলে সেটি তোমার। এমন চুক্তি করা সঠিক এবং সে অতিরিক্ত অংশের হকদার হবে। ... ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) এতে কোন সমস্যা দেখতেন না’ (আল-মুগনী, ৭/৩৬১ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : সেলিম, মাদারীপুর।





প্রশ্ন (২৬) : কেউ কোন নারীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষার জন্য করণীয় কী? সে কি অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : ইমাম সালাম ফেরানোর পর মাসবুক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ানোর সময় রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : ‘আমরা চাইলে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকেই আনন্দময় করে তুলতে পারি’, এরূপ বলা কি শিরক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : বর্তমানে ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়ের মধ্য দিয়ে কূপনের মাধ্যমে লটারী ড্র করে উমরাহ পালন, মোরটসাইকেল, এসি, ফ্রিজসহ আরো অনেক কিছু উপহার দেয়া হয়। এগুলোতে অংশগ্রহণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : তিন বছর কিংবা পাঁচ বছরের জন্য সাময়িক জন্ম নিয়ন্ত্রণ কাঠি পড়া গ্রহণ করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, যে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর দরূদ পাঠ করে তার জন্য সত্তর জন ফেরেশতা এক হাজার দিন পর্যন্ত নেকী লিখেন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : স্ত্রীর মোহর আদায় না করেই স্বামী মারা গেছেন। এখন করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : কেউ ইসরা অস্বীকার করলে কাফির কিন্তু বাইতুল মাক্বদিস থেকে মি‘রাজ বা ঊর্ধ্বগমন অস্বীকার করলে কাফির হবে না বরং বিদ‘আতী হবে। এ ফৎওয়া কতটুকু সঠিক? কুরআন দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যায় কিন্তু হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকার করলে কাফির হয় না। এমন আক্বীদা কি বিশুদ্ধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : মসজিদের ক্বিবলার দিকে এক কোণায় কিছু কবর আছে। কবরগুলো দেওয়াল দিয়ে পাকা করা। কবরের দেওয়াল এবং মসজিদের দেওয়ালের মধ্যে ২ ফিট পার্থক্য আছে। প্রশ্ন হল- উক্ত মসজিদে কি ছালাত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : যে ব্যক্তি পূর্বে নিয়মিত ছালাত আদায় করত না, সে যদি শেষ জীবনে ছালাত আদায় করে এবং তওবা করে তাহলে তার পাপ ক্ষমা হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : বয়স কমিয়ে দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছে। শরী‘আতের দৃষ্টিতে বিষয়টি হারাম জানার পরে জন্ম নিবন্ধন ও অন্যান্য সার্টিফিকেট পুনরায় ঠিক করতে অনেক সময় ও অর্থ খরচ হবে এবং অনেক হয়রানির শিকার হতে হবে। এক্ষেত্রে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : ঈদুল আযহার চাঁদ দেখা দিলে, আক্বীক্বার জন্য পশু যব্হ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ