উত্তর : খালেছ অন্তরে তওবা করলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে অবশ্যই ক্ষমা করবেন। কারণ যে ব্যক্তি স্বচ্ছ ও পবিত্র অন্তরে একনিষ্ঠ ও একাগ্রতার সাথে খালিছ তাওবাহ করে আল্লাহ তার তাওবাহ কবুল করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তবে যারা তাওবাহ করে, বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎ কাজ করে আল্লাহ তাদের পাপকর্মগুলোকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আর আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা আল-ফুরক্বান : ৬৮-৭০)। সুতরাং তার দায়িত্ব বেশি-বেশি তাওবাহ, ইস্তিগফার, আমলে ছালেহ, ছালাত আদায় ও ছাদাক্বাহ ইত্যাদি করতে থাকা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, আর অবশ্যই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল, যে তাওবাহ করে, ঈমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎ পথে চলতে থাকে’ (সূরা ত্বোহা : ৮২)। নবী (ﷺ) বলেছেন, التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ ‘গুনাহ থেকে তাওবাহকারী নিষ্পাপ ব্যক্তিতুল্য’ (ইবনু মাজাহ, হা/৪২৫০, সনদ হাসান)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন, ‘হে নবী!) আপনি বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছো তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা আয-যুমার : ৫৩)। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘তাওবাহ পূর্বের যা কিছু আছে তা মিটিয়ে দেয় এবং ইসলাম তার পূর্বের যা কিছু আছে তা মিটিয়ে দেয়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১২১)।
প্রশ্নকারী : রিযওয়ান, লালমনিরহাট।