বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
উত্তর : উক্ত মা শহীদের মর্যাদা পাবে ইনশাআল্লাহ। ‘উবাদাহ ইবনু ছামিত (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

مَا تَعُدُّوْنَ الشَّهِيْدَ فِيْكُمْ قَالُوا الَّذِىْ يُقَاتِلُ فَيُقْتَلُ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ تَعَالَى فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ شُهَدَاءَ أُمَّتِىْ إِذًا لَقَلِيْلٌ الْقَتِيْلُ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى شَهِيْدٌ وَالْمَطْعُوْنُ شَهِيْدٌ وَالْمَبْطُوْنُ شَهِيْدٌ وَالْمَرْأَةُ تَمُوْتُ بِجُمْعٍ شَهِيْدٌ

‘তোমরা তোমাদের মধ্যে কাদেরকে শহীদ হিসাবে গণ্য করবে? ছাহাবীগণ বললেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে নিহত হয় সেই শহীদ। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাহলে তো আমার উম্মতের মধ্যে শহীদের সংখ্যা কম হয়ে যাবে। (আরো শহীদ আছে, তারা হল) আল্লাহ ত্বাবারাকা ওয়া তা‘আলার রাস্তায় নিহত ব্যক্তি শহীদ, প্লেগ রোগে নিহত ব্যক্তি শহীদ, পেটের পিড়ায় নিহত ব্যক্তি শহীদ ও প্রসব বেদনায় নিহত মহিলা শহীদ’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/১০৭৭২; ইবনু মাজাহ, হা/২৮০৪, সনদ ছহীহ)। এই হাদীছে تَمُوْتُ بِجُمْعٍ -এর অর্থ, ‘যে সমস্ত নারী তাদের গর্ভস্থ সন্তানের কারণে মৃত্যুবরণ করে, তাদেরকে বুঝানো হয়েছে’ (শারহুন নববী, ১৩ তম খণ্ড, পৃ. ৬৩; ফাৎহুল বারী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪৩)। অন্য হাদীছে উক্ত মায়ের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬০৪১; ছহীহ মুসলিম, হা/১৯১৫)। উক্ত দলীল থেকে প্রমাণিত হয় যে, উম্মতে মুহাম্মাদীর মধ্যে যে সকল মহিলা নিফাস এবং গর্ভস্থ সন্তানের কারণে মৃত্যুবরণ করে, সে শহীদের মর্যাদা পাবে। যদিও আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে শহীদ হওয়া ব্যক্তির মর্যাদা মহান আল্লাহর নিকট সবার উপরে (ফাতাওয়া আল-লাজদা আদ-দায়েমাহ, ১১ তম খণ্ড, পৃ. ৬-৭)।

প্রশ্নকারী : আনীসুর রহমান, রাজনগর, সাতক্ষীরা।




প্রশ্ন (৫) : কেউ ইসরা অস্বীকার করলে কাফির কিন্তু বাইতুল মাক্বদিস থেকে মি‘রাজ বা ঊর্ধ্বগমন অস্বীকার করলে কাফির হবে না বরং বিদ‘আতী হবে। এ ফৎওয়া কতটুকু সঠিক? কুরআন দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যায় কিন্তু হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকার করলে কাফির হয় না। এমন আক্বীদা কি বিশুদ্ধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : দর্শনীয় কোন স্থানের ছবি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি তোলা অথবা সেই প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে নিজের ছবি তোলা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ফ্রিল্যান্সিং করে জীবিকা নির্বাহ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : নন মাহরাম এর সঙ্গে কথা বলা কি জায়েয আছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : কিভাবে হাদীছের ছহীহ ও যঈফ নির্ধারণ করা হয়েছে? জনৈক আলেম বলেন, তাঁরা রাবীদের সৎ‌ কিংবা অসৎ, দুর্বল, হাদীছ ভুলে যাওয়া ইত্যাদি কারণে হাদীছকে যঈফ বলা হয়। তার দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : ‘যে ব্যক্তি কোন হাজীকে চল্লিশ কদম এগিয়ে দিবে, অতঃপর আলিঙ্গন  করে তাকে বিদায় করবে, উভয়ে পৃথক হওয়ার পূর্বেই আল্লাহ তার গোনাহ মাফ করে দিবেন’ বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) বিভিন্ন খারাপ কাজের সাথে জড়িত এমন ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : জনৈক ছাহাবী রাসূল (ﷺ)-এর নিকট এসে বিনীতভাবে বললেন, দুনিয়া আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অর্থাৎ তিনি দারিদ্র্যের কথা বলেন। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, ‘তুমি কি সেই তাসবীহ মুখস্থ করনি, যা ফেরেশতাদের তাসবীহ এবং এর বরকতে রিযিক প্রদান করা হয়? এই দুনিয়ার চাহিদা তোমার কাছে প্রচুর পরিমাণে আসবে। প্রতিদিন ভোরবেলা তথা সুবহে ছাদিকের পর এই তাসবীহটি প্রতিদিন ১০০ বার পড়ুন। তাসবীহটি হল- ‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহি, সুবহা-নালল্ল-হিল আযীম ওয়াবিহামদিহি এবং আস্তাগফিরুল্লাহ’। অতঃপর সাতদিন পর, সেই একই ছাহাবী আবার এলেন এবং বিনীতভাবে বললেন, হে আল্লাহ রাসূল (ﷺ)! দুনিয়া (সম্পদ) আমার কাছে এত বেশি পরিমাণে আসছে যে আমি জানি না কিভাবে বহন করতে হবে বা কোথায় রাখব। আমি একেবারে বিস্মিত যে, এটা দিয়ে কী করা যায়’ (লিসানুল মীযান, ৪/৩০৪ পৃ., হা/৫১০০)। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : যমযমের পানি পানের সময় নিম্নের দু‘আ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : জন্মের পর পরেই একটি ছেলেকে একজন দত্তক হিসাবে নিয়ে নেয়। ঐ ব্যক্তি তার বাবা-মায়ের নাম জানতে পারেননি। এখন কিভাবে তার পরিচয় দিবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : বর্তমান যুগের ইহুদী ও খ্রিষ্টান রমণীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক শিক্ষামূলক অনেক প্রোগ্রামের আয়োজন করে। প্রশ্ন হল- এমন সূদী ব্যাংক থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ