মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ অপরাহ্ন
উত্তর : পারবে না। সেই সাথে সন্তানও পিতাকে যাকাত দিতে পারবে না। কারণ সন্তানের সম্পদ পিতারই সম্পদ (আবূ দাঊদ, হা/৩৫২৯, ৩৫৩০, সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/৩৩৫৪)। তবে স্ত্রী তার স্বামীকে যাকাতের অংশ দিতে পারবে (ছহীহুল বুখারী, হা/১৪৬৬)। স্বামীর দায়িত্বই হল স্ত্রীর ভর-পোষণের দায়-ভার নেয়া (সূরা আত-ত্বালাক্ব : ৭; সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৩৩)। সেখানে স্ত্রী অভাব-অনটনে যাকাত খাওয়ার হক্বদার হবে আর স্বামী ধনী হয়ে যাকাত আদায় সমপরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তা কখনো সম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেরূপ গৃহে বাস কর, তাদেরকেও বসবাসের জন্য সেরূপ গৃহ দাও। তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সংকটাপন্ন করো না’ (সূরা আত-ত্বালাক্ব : ৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘কেউ পাপী হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে তার উপর নির্ভরশীলদের রিযিক নষ্ট করে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৩৫৯)। নারীরা পুরুষদের অধীনে নির্ভরশীল (নিসা ৩৬)।

সন্তানদেরও যাকাতের সম্পদ দেয়া যাবে না। কারণ সন্তান প্রতিপালনের দায়িত্ব পিতারই। পিতা যখন যকাতদাতা, তখন সন্তানের জন্য তার নিজ সম্পদ থেকেই খরচ করার সামর্থ্য রাখে (শাবাকা ইসলামিয়া, আব্দুল্লাহ ফাক্বীহ, ২/১৩১৮ পৃঃ; প্রশ্ন নং ৩৩৩৪)। ইবনুল মুনযির (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, বিদ্বানরা এ বিষয়ে একমত যে, কোন পিতা তার সন্তানদের প্রতি যাকাত দিতে পারবে না (ইজমা‘ ৪৮ পৃঃ; মুগনী, ৪/৯৮ পৃঃ)। তবে সন্তান যদি ঋণী থাকে আর পিতা যদি যাকাত দেয় তাহলে ঋণ পরিশোধ করার জন্য পিতার নিকট থেকে যাকাত নিতে পারবে। অনুরূপ মেয়ে তার পিতার যাকাত নিতে না পারলেও মেয়ের স্বামী তার শ্বশুরের নিকট থেকে যাকাত নিতে পারবে। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) এবং শায়খ ছালেহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) এমনই বলেছেন। সন্তান যদি পিতার খরচের বাহিরে থাকে। অর্থাৎ সন্তান ভিন্ন সংসারে ভিন্ন উপার্জনে ভিন্নভাবে থাকে এবং কোনভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাহলে অন্য যেকোন ব্যক্তির যাকাত সহ নিজ পিতার যাকাতের অর্থও নিতে পারবে (মাজমূঊল ফাতাওয়া, ২৫তম খণ্ড, পৃ. ৯২; মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসায়েল, ১৮তম খণ্ড, পৃ. ৪১৫)। কুয়েতী বিশ্বকোষে বলা হয়েছে- কোন যাকাতদাতারই উচিত নয় যে, যাকাতের হক্বদার ছাড়া অন্য স্থানে যাকাত প্রদান করা। কারণ কুরআনের বর্ণিত ৮টি খাত ছাড়া অন্য কোন খাতে যাকাত ব্যয় করলে তার যাকাত আদায়ই হবে না (কুয়েতী বিশ্বকোষ, ২৩তম খণ্ড, পৃ. ৩৩৩)।




প্রশ্ন (২) : মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর লাইভ আযানের উত্তর দিলে তার ছওয়াব পাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ২৭ শে রামাযানের রাত্রিকে সারা বিশ্বে ক্বদরের রাত্রি হিসাবে পালন করা হয়। এ ব্যাপারে ইসলামের পরিষ্কার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : কেউ যদি এই বলে মানত করে থাকে যে, কোন একটা কাজে সফল হলে সে আল্লাহর শুকরিয়া উদ্দেশ্যে ১০০ রাক‘আত নফল ছালাত পড়বে। সেটা কি জায়েয হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে সিরামিক ইট ব্যবহার করে সুন্দর করা হচ্ছে। এটা দেখে এলাকার লোকেরা ঠাট্টা করে বলাবলি করছে এখান থেকেই ক্বিয়ামত শুরু হবে। এভাবে বলা কি জায়েয?   - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : আরাফার মাঠে অবস্থানের জন্য কি পবিত্রতা অর্জন করা শর্ত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : বউ-শাশুড়ীর মাঝে পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ লাগলে মীমাংসার জন্য স্বামী যদি কৌশলে মায়ের সাথে স্ত্রীর নামে মিথ্যা কথা বলে এবং স্ত্রীর সাথে মায়ের নামে মিথ্যা কথা বলে, তাহলে বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : সব ফিদইয়া একজন মিসকীনকে দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ইসলামে মানুষের মুখের উপর তার প্রশংসা করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন মাহফিলে প্রধান বক্তা বা অতিথির আগমনে তার সম্মানার্থে উচ্চ প্রশংসা করা হয় বা শ্লোগান দেয়া হয়। এগুলো কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : রোম ও পারস্যের সম্রাটের নাম কী? রাসূল (ﷺ) ও খলীফাগণের যুগে তাদের অবস্থান কেমন ছিল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : যাকে আল্লাহ কোন খাবার খাওয়ায় সে যেন বলে, اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِّنْهُ ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়েও উত্তম খাদ্য খাওয়ান’। প্রশ্ন হল- এই দু‘আ কি খাবার আগে পড়তে হবে, না পরে পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : যাওয়ালের ছালাত বলতে কোন্ ছালাতকে বুঝায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : যারা মিউজিক শুনে তাদের কানে উত্তপ্ত গলিত সীসা ঢেলে দেয়ার হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ