উত্তর : ইসলামের উদারতা ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ করার উদ্দেশ্যে অমুসলিমদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং উপহার লেনদেন করাতে কোন আপত্তি নেই- যদি সে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, ষড়যন্ত্র ও শত্রুতায় লিপ্ত না হয় বা ইসলামের শত্রুদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা না করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
لَا یَنۡہٰىکُمُ اللّٰہُ عَنِ الَّذِیۡنَ لَمۡ یُقَاتِلُوۡکُمۡ فِی الدِّیۡنِ وَ لَمۡ یُخۡرِجُوۡکُمۡ مِّنۡ دِیَارِکُمۡ اَنۡ تَبَرُّوۡہُمۡ وَ تُقۡسِطُوۡۤا اِلَیۡہِمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُقۡسِطِیۡنَ
‘দ্বীন-ইসলামের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালোবাসেন’ (সূরা আল-মুমতাহিনা : ৮)।
এ প্রসঙ্গে শায়খ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি কোন কাফের মুসলিমদের উপর সীমালঙ্ঘন না করে, তাদের সাথে যুদ্ধ না করে এবং তাদেরকে তাদের বাড়ী থেকে বের করে না দেয়, তাহলে তাকে কুরবানীর গোশত কিংবা অন্যকিছু হাদিয়া দেয়া জায়েয’ (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ১৩/২ পৃ.)। তবে এমন জিনিস উপহার দেয়া জায়েয নয়, যা মূলত হারাম অথবা যা অমুসলিমরা তাদের ধর্মীয় উপকরণ ও প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করে। যেমন মদ, শূকরের গোশত, বাদ্যযন্ত্র, তাদের ধর্মীয় বই, হিন্দু-খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় রীতি হিসাবে ব্যবহার্য সামগ্রী যেমন : শাখা, পৈতা, ক্রুশ বা অন্য কোন ধর্মীয় প্রতীক ইত্যাদি।
প্রশ্নকারী : নজরুল ইসলাম, যশোর।