উত্তর : যাদুবিদ্যা গ্রহণ করা এবং অপরকে শিখানো উভয়ই কাবীরা গুনাহ। এটা ইসলাম ভঙ্গের কারণ। যাদুকর এবং যাদুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী উভয়ই সমান গুনাহগার। আর নিশ্চিতরূপে যাদুকরের শাস্তি হল মৃত্যুদণ্ড (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ র্দাব ইবনে বায, ১/৩৫৫-৩৫৬)। আল্লাহ বলেন, ‘আর তারা অনুসরণ করেছে, যা শয়তানরা সুলাইমানের রাজত্বে পাঠ করত। আর সুলাইমান কুফরী করেনি, বরং শয়তানরা কুফরী করেছে। তারা মানুষকে যাদু শিখাত...আর তারা নিশ্চিতভাবে জানত যে, যে কেউ তা (যাদুবিদ্যা) ক্রয় করে, পরকালে তার কোন অংশ নেই..’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১০২)। ইমাম ত্বাবারী (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এখানে যাদুকে শয়তানের কালাম ও কুফরী বলা হয়েছে’ (তাফসীরুত ত্বাবারী, ২/৪১৭; তাফসীরে ইবনে কাছীর, ১/৩৪৮ পৃ.)।
আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেন, ‘সাতটি ধ্বংসাত্মক বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! সেগুলো কী? তিনি বললেন, (১) আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা (২) যাদু (৩) আল্লাহ তা‘আলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরী‘আতসম্মত কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করা (৪) সূদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের মাল অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করা (৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং (৭) সরল স্বভাবা নেক নারীদের অপবাদ দেয়া (ছহীহ বুখারী, হা/২৭৬৬, ৫৭৬৪, ৬৮৫৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯; আবূ দাঊদ, হা/২৮৭৪)। বাজালা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর মৃত্যুর এক বছর পূর্বে তাঁর লেখা একটি পত্র আমাদের কাছে আসে। পত্রের বিষয়বস্তু এরূপ যে, ‘প্রত্যেক যাদুকরকে হত্যা করবে, প্রত্যেক মুহরিম অগ্নিপূজারী স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ ছিন্ন করবে এবং তাদেরকে যামযামা থেকে বিরত রাখবে’। অতঃপর ‘আমরা একদিনে তিনজন জাদুকর হত্যা করি এবং আল্লাহর কিতাবে বিধিবদ্ধ প্রতিটি অগ্নিপূজারী পুরুষ ও তার মুহরিম স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করি (আবূ দাঊদ, হা/৩০৪৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৫৭; ছহীহ বুখারী, হা/৩১৫৬; তিরমিযী, হা/১৫৮৬)।
প্রশ্নকারী : আল-আমীন, মাগুরা।