শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
উত্তর :  প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিকে ইসলামী পরিভাষায় বাইয়ে সালাম বা সালাফ বলা হয়। সালাম শব্দের অর্থ অগ্রিম কেনাবেচা। ‘বাইয়ে সালাম বা সালাফ’ ক্রয়-বিক্রয়ের এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে বিক্রেতা পণ্যে অগ্রিম মূল্য নিয়ে এই দায়িত্ব গ্রহণ করে যে, সে ভবিষ্যতের কোন একটি নির্ধারিত তারিখে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের পণ্য ক্রেতাকে সরবরাহ করবে। এখানে মূল্য নগদ কিন্তু পণ্য (বিক্রিতব্য জিনিস) পরিশোধে বিলম্বিত হয় (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-র্দাব, ৯/১৪৯ পৃ.)। হাফিয ইবনে হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, واتفق العلماء على مشروعيته ‘আলেমগণের সর্বসম্মতিক্রমে বাইয়ে সালাম জায়েয’ (ফাৎহুল বারী, ৭/৭৬ পৃ.)। ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন,

قَدِمَ النَّبِيُّ ﷺ الْمَدِيْنَةَ وَهُمْ يُسْلِفُوْنَ بِالتَّمْرِ(وفيْ رِوَايَةِ مُسْلِمٍ فِي الثِّمَارِ السَّنَةَ) السَّنَتَيْنِ وَالثَّلَاثَ فَقَالَ مَنْ أَسْلَفَ فِيْ شَيْءٍ فَفِيْ كَيْلٍ مَعْلُوْمٍ وَوَزْنٍ مَعْلُوْمٍ إِلَى أَجَلٍ مَعْلُوْمٍ .

‘আল্লাহর রাসূল (ﷺ) যখন মদীনায় আসেন তখন মদীনাবাসী ফলে বা খেজুরে এক, দুই ও তিন বছরের মেয়াদে সালাম (অর্থাৎ অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয়) করতেন। আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বললেন, কোন ব্যক্তি সালাম (অর্থাৎ অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয়) করলে, সে যেন নির্ধারিত পরিমাপে এবং নির্দিষ্ট ওযনে এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয় করে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২২৩৯; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৪)।

উপরিউক্ত হাদীছে রাসূল (ﷺ) বিশেষ কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে বাইয়ে সালাম চুক্তির অনুমতি দিয়েছেন। যেমন ১- বাইয়ে সালাম জায়েয হওয়ার জন্য যরূরী হল, ক্রেতা চুক্তির সময়ই বিক্রেতাকে সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করবে। কেননা, চুক্তির সময় ক্রেতা যদি সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ না করে, তাহলে তা ঋণের বিনিময়ে ঋণ বিক্রির সাদৃশ্য হয়ে যাবে, যা করতে রাসূল (ﷺ) নিষেধ করেছেন (আল-মুগনী, ৪/৩৭; আশ-শারহুল মুমতি‘, ৮/৪৪৪; কুয়েতি ফিকাহ বিশ্বকোষ, ৯/১৭৬ পৃ.)। ২- বাইয়ে সালাম শুধু সেই সব পণ্য দ্রব্যে জায়েয হবে, যে সব পণ্যের কোয়ালিটি বা গুণগত মান, পরিমাণ, পরিমাপ ও সংখ্যা পূর্বেই পরিপূর্ণরূপে নির্ধারণ করা সম্ভব। ৩- যে পণ্যে সালাম করার ইচ্ছা পোষণ করবে, তার ধরণ এবং গুণগত মান সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করে নেয়াও অপিরহার্য, যাতে সেই পণ্যে এমন কোন অস্পষ্টতা বিদ্যমান না থাকে, যা পরবর্তীতে কলহ-কোন্দলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ প্রসঙ্গে সম্ভাব্য সকল বিষয় বিশদভাবে উল্লেখ থাকা উচিত। ৪- কোন রকম অস্পষ্টতা ব্যতীত বিক্রিতব্য দ্রব্যের পরিমাণ, পরিমাপ ও সংখ্যাও নির্দিষ্ট করে নেয়া অপরিহার্য। ৫- বিক্রিতব্য জিনিস পরিশোধের তারিখ এবং স্থানও চুক্তিতে নির্ধারণ করে নেয়া অপরিহার্য ।


প্রশ্নকারী : ইকবাল, ভোলা।





প্রশ্ন (১) : ‘আহলেহাদীছ’ নামে কোন মসজিদের নামকরণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : উটের মালিক সম্মান ও ইজ্জতের অধিকারী এবং ছাগল বরকতপূর্ণ প্রাণী। আর ঘোড়ার কপালে ক্বিয়ামত পর্যন্ত কল্যাণ বাঁধা থাকবে। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : যোহরের ছালাতের আউয়াল ওয়াক্ত কখন শুরু হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : ইক্বামতে ‘ক্বাদ ক্বা-মাতিছ ছালাহ’-এর জবাবে ‘আক্বা-মাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা’ বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : শাওয়াল মাসে ছয়টি ছিয়াম পালন করার বিধান ও তার ফযীলাত সম্পর্কে জানাতে চাই। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ওযূ করে ছালাত চলাকালীন সময় বা ছালাত আদায়ের পর যদি জানতে পারি যে আমার দাঁতে সামান্য কিছু খাবার অবশিষ্ট আছে। তাহলে ওযূ করে পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : সমাজে মারা যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির চুল, নখ ইত্যাদি কাটার রেওয়াজ চালু রয়েছে। এটা কতটুকু শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : বিবাহিত পুরুষ কুমারী মেয়ের সাথে যেনা করলে ইসলামী শরী‘আতে তার শাস্তি কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : মুমিন ও‌ মুসলিমের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : হার্টের এমন কিছু রোগী আছে, যাদের কোন ট্যাবলেট জিহ্বার নিচে রেখে ব্যবহার করতে হয়, গিলে ফেলা হয় না। শরীর সেটাকে চুষে নেয়। এতে ছিয়াম ভেঙ্গে যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৭) : ফরয কিংবা নফল ছালাতে যে সমস্ত জায়গায় দু‘আ করা হয়, সে সব জায়গায় কুরআনের দু‘আমূলক আয়াত পরা যাবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ