উত্তর : সামগ্রিকভাবে সরকারী চাকরী করা বৈধ, যতক্ষণ না তা সত্তাগতভাবে হারাম হবে। যেমন সরকারী ব্যাংক ইত্যাদি। আর সরকারের সুনির্দিষ্ট ফান্ড থেকে যদি আপনাকে বেতন দেয়া হয়ে থাকে এবং আপনার চাকরির কাজটি যদি হালাল হয়, তাহলে তার বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করাও আপনার জন্য জায়েয হবে। এক্ষেত্রে সরকারের উপার্জন কি অথবা সরকারের টাকা কিভাবে উপার্জন করা হয়েছে এগুলো আপনার ধর্তব্য বিষয় নয়। সরকারের বহুমুখী বিশাল ফান্ড রয়েছে এবং সেখানে অবৈধ ফান্ড যেমন রয়েছে তেমনি অনেক বৈধ ফান্ডও রয়েছে যেগুলো থেকে সরকার আপনাকে বেতন দিতে পারে। এ নিয়ে আপনার মাথাব্যথা হওয়ার কোন কারণ নেই। বরং আপনি বৈধ চাকরী করে বেতন পাচ্ছেন এটিই বাস্তবতা।
কেননা শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘...এক্ষেত্রে হারাম উপার্জনকারীই প্রকৃত গুনাহগার। সে ছাড়া অন্য কারো জন্য তা হারাম নয়। যেমন রাসূল (ﷺ) ইহুদীদের সঙ্গে আদান-প্রদান করেছেন এটি জানার পরও যে তারা সূদী কারবারের সঙ্গে যুক্ত এবং হারাম ভক্ষণ করে। সুতরাং এটি প্রমাণ করে যে, তা উপার্জনকারী ব্যতীত অন্য কারো জন্য হারাম নয় (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা, ৩/৪৫২; তাফসীরু সূরাতিল বাক্বারাহ, ১/১৯৮; আল-ক্বাউলুল মুফীদ আলা কিতাবিত তাওহীদ, ৩/১১২ পৃ.)। শায়খ মুহাম্মাদ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ফক্বীহগণ বলেছেন, হারাম পন্থায় উপার্জিত অর্থ শুধু উপার্জনকারীর জন্যই হারাম। সন্তান হিসাবে পিতা যদি তাকে উপহার স্বরূপ ঐ মাল থেকে কিছু দেয়, তবে তা গ্রহণ করা তার জন্য বৈধ হবে। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে পিতার ঐ উপহার বর্জন করাই উত্তম হবে (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৪৫০১৮; আহকামুল কুরআন,. ১/৩২৪; আল-মাজমূঊ, ৯/৪৩০; ফাতাওয়া ফিক্বহিয়্যাহ আল-কুবরা, ২/২৩৩; কাশশাফুল ক্বিনা‘, ৩/৪৯৬ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : শাহাবুদ্দীন, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ।