উত্তর : এ সময় মুক্তাদী ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা’ বলবে। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুওয়াযযিনের সাথে সাথে আযানের বাক্যগুলো অন্তর থেকে পাঠ করে এবং ‘হাইয়া ‘আলাছ ছালাহ’ ও ‘হাইয়া ‘আলাল ফালাহ’ এর জবাবে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলে, তাহলে সে জান্নাতে যাবে’ (ছহীহ মুসলিম হা/৩৮৫; আবুদাঊদ হা/৫২৭)। অন্য হাদীছে এসেছে, ‘যখন তোমরা আযান শুনবে, তখন মুওয়াযযিন যা বলে তদ্রুপ বল’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮৪; আবূ দাঊদ, হা/৫২৩; তিরমিযী, হা/৩৬১৪)। তাই মুওয়াযযিন যা বলবে, শ্রবণকারীও তাই বলবে। আর ইক্বামতের জবাবও একইভাবে দিবে (ছহীহ বুখারী, হা/৬১১; মুগনী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৭৪)। কেননা আযান ও ইক্বামত দু’টিকেই হাদীছে ‘আযান’ বলা হয়েছে (ছহীহ বুখারী, হা/৬২৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৩৮; ফাতাওয়া লাজনাহ আদ-দায়েমাহ, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৮৯)।
উল্লেখ্য, ‘ক্বদ ক্বামাতিছ ছালাহ’ বললে ‘আক্বামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা’ বলা যাবে না। কারণ এমর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবূ দাঊদ, হা/৫২৮)। তাই জবাবে ‘ক্বদ ক্বামাতিছ ছালাহ’-ই বলতে হবে (ছহীহ মুসলিম, হা/৩৮৪)।
প্রশ্নকারী : ফরীদুল ইসলাম, রাজশাহী।