সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:১০ অপরাহ্ন
উত্তর : শব্দ করে সালাম দেয়া সুন্নাত, যাতে লোকেরা শুনতে পায়। আর শুনতে পেলেই তারা উত্তর দিবে। মহান আল্লাহ বলেন, فَاِذَا دَخَلۡتُمۡ بُیُوۡتًا فَسَلِّمُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِکُمۡ تَحِیَّۃً مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ مُبٰرَکَۃً  طَیِّبَۃً ‘যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করবে, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম দেবে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র দু‘আ’ (সূরা আন-নূর : ৬১)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) -কে লক্ষ্য করে বলেন, يَا بُنَىَّ إِذَا دَخَلْتَ عَلَى أَهْلِكَ فَسَلِّمْ يَكُوْنُ بَرَكَةً عَلَيْكَ وَعَلَى أَهْلِ بَيْتِكَ ‘হে বৎস! যখন তুমি বাড়িতে প্রবেশ করবে, তখন পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সালাম দেবে। তাতে তোমার এবং তোমার পরিবারে বরকত এবং কল্যাণ হবে’ (তিরমিযী, হা/২৬৯৮; মিশকাত, হা/৪৬৫২; সনদ হাসান, ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬০৮)। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যখন কেউ মসজিদে বা যেকোন ঘরে প্রবেশ করবে, তখন যারা থাকবে তারা যেন শুনতে পায় সেভাবে শব্দ করে সালাম দেবে (তানকীহ হাছীছ, পৃ. ৮৩)। যদি বাড়ী বা মসজিদে কেউ না থাকে, সেখানেও সালাম দেয়া উচিত। নাফে‘ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) যখন এমন বাড়ীতে প্রবেশ করতেন, যেখানে কেউ বসবাস করে না; তখন তিনি বলতেন, ‘আস্সালামু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবদিহিল্লাহিছ ছালেহীন’ (আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/১০৫৫, ছহীহ; তাফসীরে কুরতুবী, ১২তম খণ্ড, পৃ. ৩১৯)। তাই সালাম দেয়ার সময় শব্দ বা আওয়াজের ক্ষেত্রে আদব বজায় রেখেই সালাম দিবে।


প্রশ্নকারী : রাকিবুল হাসান, ঢাকা।





প্রশ্ন (২৭) : কোন ব্যক্তি মারা গেলে সাথে সাথে কবর খনন করা হয়। আর দাফন করতে দেরী হলে কবরটিকে বসে বসে পাহারা দেয়া হয়। এর কারণ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : মুছল্লীদের সুবিধার্থে ও তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে শুক্রবারে কোন সময়কে ইলম শিখার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট করে নিলে বিদ‘আত হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : মাঝে মাঝে অনেক হতাশা ও দুশ্চিন্তা চেপে বসে। করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : মক্কায় একদিনের ছিয়াম বাইরের এক লক্ষ ছিয়ামের সমতুল্য। সেখানে এক দেরহাম খরচ করলে এক লক্ষ দেরহামের সমান এবং একটি নেকী করলে এক লক্ষ নেকীর সমান ছওয়াব পাওয়া যায়। বিভিন্ন হাদীছে মসজিদে নববীর ছওয়াব সমজিদে আক্বছার চেয়ে অধিক এসেছে। অথচ এখানে উভয় মসজিদের ছওয়াব পঞ্চাশ হাজার বলা হয়েছে। এর অর্থ করা হয়েছে, প্রত্যেক মসজিদের ছওয়াব পূর্ববর্তী মসজিদ হিসাবে বলা হইয়াছে অর্থাৎ জামে মসজিদের ছওয়াব পাঁচশ’ ছালাত নয়, বরং মহল্লার মসজিদ হতে পাঁচশ’ গুণ বেশী। এই হিসাব মতে জামে মসজিদে বার হাজার পাঁচশ’ (১২৫০০) ছালাতের ছওয়াব। মসজিদে আকছার ছওয়াব বাষট্টি কোটি পঞ্চাশ লক্ষ (৬২৫০০০০০০), মদীনার মসজিদের ছওয়াব তিন নিল বার খর্ব পঞ্চাশ আরব (৩১২৫০০০০০০০০০০) এবং হারাম শরীফের ছওয়াব একত্রিশ শঙ্ঘ পঁচিশ পদ্ম, (৩১২৫০০০০০০০০০০০০০০০) (ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ. ৯২)। তাবলীগী নিসাবের ‘ফাযায়েলে হজ্জ’ কিতাবে বর্ণিত উক্ত ফযীলত কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : মানুষের মৃত্যুর পর তাকে সামনে রেখে বলা হয় যে, মানুষটি ভাল ছিল, না-কি খারাপ ছিল? প্রচলিত পদ্ধতি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : আছরের ছালাত ক্বাযা হলে মাগরিব ছালাতের সময় আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩): অপচয় ও অপব্যয় এর মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : মাফলার বা হুডি পরে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর কেউ যদি ভুলে দুরূদে ইবরাহীম পড়ে, তাহলে তাকে কি সাহু সিজদাহ দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : গালি নির্দেশ করে এমন কথাকে রসিকতা করে বলা; সিরিয়াসলি নয়। এ ব্যক্তিও কি কুফুরী করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : প্রচলিত আছে যে, কেউ যদি দিনে পঁচিশ জনের সাথে মুছাফাহা করে আর সেদিন মারা যায়, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : ভুল করে বুকের দুধ খেলে কি দুধমাতা সাব্যস্ত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ