সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৭ অপরাহ্ন
উত্তর : এভাবে ভুলক্রমে একবার বা দুইবার দুধ পান করলে দুধমাতা সাব্যস্ত হবে না। কারণ দুধমাতা সাব্যস্ত হওয়ার জন্য কমপক্ষে পাঁচবার স্পষ্টভাবে পৃথক পৃথকভাবে দুধ পান করানো শর্ত (রাওযাতুত্ব ত্বালিবীন, ৯/৭; মুগনী আল-মুহতাজ, ৩/৪১৬; আল-ইক্বনা‘, ৪/১২৬ পৃ.;  যাদুল মা‘আদ, ৫/৫১১; সুবুলুস সালাম, ২/৩১১ পৃ.)। ইমাম ইবনু কুদামাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আয়েশা, ইবনু মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুম), ইবনু যুবাইর, ‘আত্বা, ত্বাউস (রাহিমাহুমুল্লাহ) প্রমুখ থেকে এরকমই বর্ণিত হয়েছে (আল-মুগনী, ৮/১৭১-১৭৩ পৃ.)।  ইবনু হায্ম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, পাঁচবারের কমে দুধের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে না এবং একটি অপরটি থেকে পৃথক হতে হবে বা পাঁচবার পৃথক পৃথকভাবে পান করাতে হবে (আল-মুহাল্লা, ১০/১৮৯ পৃ.)।

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি কোন বাচ্চা দু’বছর বয়সের মধ্যে কোন মহিলার স্তন থেকে পাঁচবার স্তন্যপান করে, তবেই ঐ মহিলা তার দুধমাতা হিসাবে সাব্যস্ত হবে’ (ফাতাওয়া আল-কুবরা, ৩/১৫৯-১৬৩; মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ৩৪/৫৭ পৃ.)। ইমাম শাওকানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ছহীহ বুখারী, মুওয়াত্তা মালিক ও মুসনাদে আহমাদ এ পাঁচবারের কথাই বর্ণিত হয়েছে। অতএব পাঁচবারের কমে দুধের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে না (নাইলুল আওত্বার, ৬/৩৬৭-৩৭৩ পৃ.; আস-সাইলুল জার্রার, পৃ. ৪৭১)। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘দুধপানের মাধ্যমে সম্পর্ক হারাম হওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে পাঁচবার অথবা ততোধিক বার দুধ পান করা শর্ত এবং সেটা দু’বছরের মধ্যে হতে হবে’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ২২/২৩৭-২৭৩ পৃ.)।

শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী কমপক্ষে পাঁচবার দুধপান করা অপরিহার্য’ (আশ-শারহুল মুমতি‘, ১২/১১২ পৃ.)। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, কুরআনে এ আয়াতটি নাযিল হয়েছিল عَشْرُ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ ‘দশবার স্তন্যপানে হারাম সাব্যস্ত হয়’। অতঃপর তা মানসূখ বা রহিত হয়ে যায় خَمْسٍ مَعْلُومَاتٍ এর দ্বারা ‘পাঁচবার পান দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়’। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তিকাল করেন অথচ ঐ আয়াতটি কুরআনের আয়াত হিসাবে তিলাওয়াত করা হত’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৫২; তিরমিযী, হা/১১৫০)।


প্রশ্নকারী : সাইমা যামান, ঢাকা।





প্রশ্ন (১২) : বাবা-মা পরিবারের বড় ছেলের তুলনায় ছোট ভাই-বোনদেরকে সবকিছুই বেশি দিয়ে থাকেন। তারা মোটেও ইনছাফ করেন না। এজন্য কি তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে না আল্লাহ তা‘আলার কাছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : ফরয ছালাতের পর সম্মিলিত দু‘আ না করে কেউ যদি নির্ধারিত যিকির-আযকার মুখস্থ না থাকায় মোবাইল থেকে দেখে দেখে পাঠ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : তিন বছর কিংবা পাঁচ বছরের জন্য সাময়িক জন্ম নিয়ন্ত্রণ কাঠি পড়া গ্রহণ করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ফের্কাবন্দী অর্থ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন আল্লাহ তা‘আলা যমীন সৃষ্টি করলেন তখন তা দুলতে লাগল। অতঃপর পাহাড়গুলো সৃষ্টি করে সেগুলো পৃথিবীর উপর স্থীর করেন। অতঃপর পৃথিবী স্থীর হয়ে গেল। ফেরেশতাগণ পাহাড়ের এ শক্তি দেখে আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পাহাড় অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ; আর সেটা লোহা। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করল, হে প্রভু! আপনার সৃষ্টির মধ্যে লোহা অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগুন। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে আগুন অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; পানি। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পানি অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; বাতাস। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে বাতাস অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; আদম সন্তান। যে তার ডান হাতে দান করে আর দানকে বাম হাত হতে গোপন রাখে। এ ঘটনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : কেউ দু‘আ চাইলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : ঋণগ্রহীতা ও ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি মুক্তির জন্য কী করতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : দাঁত সাজানো কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : মাদরাসায় যাকাতের টাকা দেয়া যাবে কি? মাদরাসার ভবন নির্মাণ বা জমি কেনার কাজে ব্যবহার করলে বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : খ্রিষ্টানদের পরিচালিত কলেজে অধ্যয়ন করার কারণে নিয়মানুযায়ী ক্রুশযুক্ত পোশাক পরতে হয়। এই পোশাক পরা কি শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : ‘তোমরা রাতের বেলায় রাস্তার মধ্যভাগে অবস্থান নেয়া থেকে সাবধান থাক। কেননা উহা হল, সাপ ও হিংস্র প্রাণীদের আশ্রয়স্থল’ মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : পিতা-মাতা যদি সন্তানকে ক্ষমা না করে, তাহলে কী করণীয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ