উত্তর : সরকারী ট্যাক্স, শুল্ক কর বা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার জন্য অবৈধভাবে সীমান্ত পথ দিয়ে পাচারকৃত জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করা নিষেধ। কোন ব্যক্তির জন্য জেনেশুনে ছিনতাইকৃত, চুরিকৃত, সন্দেহযুক্ত, পাচারকৃত জিনিস ক্রয় করা হারাম (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৩/৮২ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৩০৬৬০০)। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ), ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ), সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি, শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ মুহাম্মাদ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘জেনেশুনে চুরির মাল ক্রয়-বিক্রয় করা নিশ্চিতরূপে হারাম। জেনেশুনে চুরির মাল ব্যবহার করা জায়েয নয়। কেননা এমন ক্রয়ের মাধ্যমে পাপ ও সীমালঙ্ঘনে সহযোগিতা করা হয় এবং অন্যায়ের পক্ষে সায় দেয়া এবং অন্যায়কারীর সাথে পাপে অংশগ্রহণ করা হয়। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ায় পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে অত্যধিক কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদাহ: ২)। যেহেতু ইসলামের দৃষ্টিতে মিথ্যা, প্রতারণা, কর ফাঁকি দেয়া ও দেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করা অপরাধ। তাই আইন অমান্য করে অবৈধভাবে সীমান্ত পথ দিয়ে পাচারকৃত জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয নয় (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৯/২৭৬, ২৯/৩২৩; আল-মাজমূ‘, ৯/৩৫১; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৩/৮১-৮৩; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৯/৮৮-৯২ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৯৩০৩১, ১০০২০৯)।
প্রশ্নকারী : সজিব হাসান, সদর, রংপুর।