উত্তর : একজন কুরআনের হাফিযের মর্যাদা সীমাহীন। হাফিয হওয়ার কারণে তাঁকে সব সময় কুরআন চর্চা করতে হবে। এতে হাফেয প্রতি অক্ষরে অক্ষরে ১০টি করে নেকী পাবে। এভাবে সাধারণ মানুষ হতে নেকী অর্জনের ক্ষেত্রে সে থাকে অগ্রগামী। ক্বিয়ামত দিবসে একজন হাফেয ফিরিশতাদের সাথে অবস্থান করবেন এবং জান্নাতে প্রবেশের পর বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে সুউচ্চ স্থান লাভ করবেন (আবূ দাঊদ হা/১৪৬৪, সনদ ছহীহ)। হিফযের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং হাফিযদের মর্যাদায় এছাড়াও আরো অনেক হাদীছ রয়েছে।
তবে কুরআনের হাফিয ১০/৭০ জনের জন্য সুপারিশ করতে পারবেন মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ পাওয়া যায় না। এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল। ‘যে ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করে এবং মুখস্থ রাখে, এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মনে করে। তাকে আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশজন লোক সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করবেন, যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম অনিবার্য ছিল’। হাদীছটি অত্যন্ত দুর্বল। ইমাম তিরমিযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
هَذَا حَدِيْثٌ غَرِيْبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِصَحِيْحٍ . وَحَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيْثِ.
‘এ হাদীছটি গরীব। আমরা শুধু উপরিউক্ত সূত্রেই এ হাদীছ জেনেছি। এর সনদ ছহীহ নয়। হাফছ ইবনু সুলাইমান হাদীছ শাস্ত্রে দুর্বল’ (তিরমিযী, হা/২৯০৫)। আল্লামা নাছিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীছটি দুর্বল (যঈফুল জামে‘, হা/৪৬৬২; যঈফ তিরমিযী, হা ২৯০৫; তাখরীজু মিশকাত, হা/২০৮৩)। শায়খ আব্দুর রহমান মুবারকপুরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর সনদে হাফ্ছ ইবনু সুলাইমান নামক রাবী পরিত্যাজ্য (তুহফাতুল আহওয়াযী, ৭/৩২৩ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, রংপুর।