উত্তর : মনে মনে ত্বালাক্ব দিলে ত্বালাক্ব পতিত হবে না। যেহেতু স্বামী ত্বালাক্ব শব্দটি মুখে উচ্চারণ করেনি। আর শুধু নিয়ত ত্বালাক্ব কার্যকর হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। বরং শব্দ উচ্চারণ বা লেখার মাধ্যমে পতিত হয়। ‘আত্বা ইবনু আবী রিবাহ্, ইবনু সীরীন, হাসান, সাঈদ ইবনু যুবাইর, শা‘বী, জাবির ইবনু যায়িদ, ক্বাতাদাহ, ছাওরী, আবূ হানীফা, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক্ব (রাহিমাহুমুল্লাহ) একই কথা বলেছেন (ফাৎহুল বারী, ৯/৩৯৪; আল-মুগনী, ৭/১২১; উমদাতুল ক্বারী, ২০/২৫৬; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ২০/২৭; ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, ৩/২৭৯ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২০৬৬০, ৮১৭২৬)। আবূ হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ আমার উম্মাতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে। ক্বাতাদাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মনে মনে ত্বালাক্ব দিলে তাতে কিছুই হবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৫২৮, ৫২৬৯, ৬৬৬৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৩২৭)। অনুরূপভাবে ‘ইসলাম ওয়েব’-এর আলেমগণ বলেন,
إذا لم يتلفظ به ونواه في نفسه، أو حرك شفتيه ولسانه من غير أن يتلفظ به، فلا يقع طلاقه. فذهب الحنفية والشافعية والحنابلة إلى أنه لا يكفي مجرد حركة اللسان من غير أن يسمع نفسه
‘যদি সে ত্বালাক্ব শব্দটি মুখে উচ্চারণ না করে নিজের অন্তরেই নিয়তের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে, অথবা মুখে উচ্চারণ না করে যদি শুধু ঠোঁট বা জিহ্বা নাড়াচাড়া করে তাহলেও ত্বালাক্ব সংঘটিত হবে না। হানাফী মাযহাব, শাফিঈ মাযহাব ও হাম্বালী মাযহাবের মতানুযায়ী শুধু ঠোঁট বা জিহ্বা নড়ানো যথেষ্ট নয়, নিজের শব্দ উচ্চারণ নিজে না শোনা পর্যন্ত যথেষ্ট হবে না’ (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৪২৫৯৬২, ১৫১৬৩৭)।
প্রশ্নকারী : মেহেরুন, কেরানীগঞ্জ।