উত্তর : হাদীছটি যঈফ। এর সনদে ‘বিশর ’ এবং ‘বাশীর’ নামে দুইজন অপরিচিত রাবী আছে (আবুদাউদ, হা/২৪৮৯; ইরওয়াউল গালীল, হা/৯৯১; সিলসিলা যঈফাহ, হা/৪৭৮; ১ম খণ্ড, পৃ. ৬৯১)।
তবে আল্লাহর নিদর্শন সমূহ দেখার জন্য বিভিন্ন স্থানে সফর করার অনুমতি রয়েছে। তাছাড়া বৈধ ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে সমুদ্রে পথেও ভ্রমণ করা যাবে (সূরা ইউনুস : ২২; সূরা বানী ইসরাঈল : ৬৬; আনকাবূত ২০)। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকলে তখন সফর করা নিষেধ। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,مَنْ رَكِبَ الْبَحْرَ عِنْدَ ارْتِجَاجِهِ فَمَاتَ فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ ‘যে ব্যক্তি উত্তাল সাগরে ভ্রমণে বের হয়ে মারা গেল, তার উপর কারো দায়-দায়িত্ব থাকবে না’ (আহমাদ, হা/২০৭৬৭; সনদ ছহীহ, সিলসিলাহ ছহীহাহ, হা/ ৮২৮)। ইমাম শাওকানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,والحديث يدل على عدم جواز ركوب البحر في أوقات اضطرابه ‘উক্ত হাদীছ প্রমাণ করে যে, সাগর যখন উত্তাল হবে তখন তাতে সফর করা বৈধ নয়’ (নায়লুল আওত্বার, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১২)।
প্রশ্নকারী : আলামীন, নওগাঁ।