উত্তর : শরী‘আত বৈধ ঋণ নিয়েও হজ্জ করতে নিষেধ করে। সুতরাং ঋণ নিয়ে হজ্জ করবে না। কারণ এমতাবস্থায় তার উপর হজ্জ অপরিহার্য নয় (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল ইবনে উছাইমীন, ২১/৯৩-১১০ পৃ.)। যদিও সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন, ঋণ পরিশোধে সামর্থ্যবান ব্যক্তি ঋণ নিয়ে হজ্জ করতে পারে। হজ্জের শুদ্ধতার উপর ঋণ গ্রহণের কোন প্রভাব নেই (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১১/৪২ পৃ.)। পক্ষান্তরে শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘সূদী ঋণ নিয়ে হজ্জ করা যে হারাম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বরং তা কারীরা গুনাহের অন্তর্র্ভুক্ত এবং সাতটি ধ্বংসাত্মক জিনিসের একটি’ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৩৯৭৪, ৮১৪৬৫)। যেমন নবী (ﷺ) সূদখোর, সূদদাতা, তার সাক্ষীদাতা ও তার লেখককে অভিসাম্পত করেছেন এবং বলেছেন, ‘ওরা সবাই সমান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৭-১৫৯৮)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ আক্কাস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।