শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
উত্তর : কুরআন ভুলে যাওয়ার আশঙ্কায় রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারবার পাঠ করতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্তরে কুরআন গেঁথে (মুখস্থ) রাখে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ মালিকের ন্যায়, যে উট বেঁধে রাখে। যদি সে উট বেঁধে রাখে, তবেই উট তার নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিন্তু যদি সে বাঁধন খুলে দেয়, তবে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়’ (ছহীহ বুখারী, হা/ ৫০৩১; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৮৯)। অন্যত্র তিনি বলেছেন, ‘যদি কেউ এভাবে বলে যে, আমি অমুক অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছি, তাহলে তা তার জন্য খুবই খারাপ। বরং তাকে তো ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তোমরা কুরআনকে স্মরণ রাখ। কারণ কুরআন মানুষের হৃদয় থেকে পা বাঁধা পলায়নপর চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও অধিক পলায়নপর। ছাড়া পেলেই পালিয়ে যায়ে অর্থাৎ স্মরণ রাখার চেষ্টা না করলেই ভুলে যায়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫০৩২; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৯০; মিশকাত, হা/২১৮৮)।

এ জন্য কুরআন হিফয করার পর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে ধরে রাখার। এ ব্যাপারে সঊদী স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ডের বক্তব্য হল, ‘কেউ যদি কুরআন মুখস্থ করার পর ব্যস্ততা ও উদাসীনতার কারণে ভুলে যায়, তাহলে সে গুনাহগার হবে না। কেননা কুরআন ভুলে যাওয়ার শাস্তি সম্পর্কে যে দলীল পেশ করা হয়, তা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ছহীহসূত্রে প্রমাণিত নয়’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৯৯)।

শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) কুরআন ভুলে যাওয়াকে দুইভাগে ভাগ করেছেন। যথা : ১. স্বভাবগত ভুলে যাওয়া। এটাতে কোন গুনাহ হবে না এবং তার জন্য কোন শাস্তিও দেয়া হবে না। মিসওয়ার ইবনু ইয়াযীদ আল-মালিকী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছালাত আদায় করি। ছালাতে তাঁর পঠিত আয়াতের অংশ বিশেষ ভুলবশত ছুটে গেলে ছালাত শেষে এক ব্যক্তি তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি অমুক অমুক আয়াত ছেড়ে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, তুমি আমাকে তা স্মরণ করিয়ে দাওনি কেন?’ (আবূ দাঊদ, হা/৯০৭, সনদ হাসান)। ২. আর যদি কেউ কুরআন থেকে বিমুখতা ও অনুশীলন না করার কারণে ভুলে যায়, তাহলে সে গুনাহগার হবে (কিতাবুল ইলম, পৃ. ৯৬-৯৭)।


প্রশ্নকারী : আহসান হাবীব, রংপুর।




প্রশ্ন (১২) : চোখের যিনা করলে ক্বিয়ামতের দিন চোখে গরম শিশা ঢালা হবে এই রকম কোন হাদীছ আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৫) : ইসলামী শরী‘আতে ‘উকীল বাবা’-এর কোন বিধান আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : বর্তমানে অনেক মহিলা শাড়ি পরে ছালাত আদায় করে থাকে। প্রশ্ন হল- শাড়ি পরে মহিলারা ছালাত আদায় করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১): মক্তবের বেতন কি উশরের টাকা দিয়ে দেয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : সকালে বরকত নাযিল হয়। এই কথার কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : মাথার চুল ডাস্টবিনে ফেললে কি পাপ হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : ‘আল্লাহ ও আপনি যা ইচ্ছা করেন’-এরূপ কথা বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : রাসূল (ﷺ) তাঁর মায়ের কবরের পার্শ্বে গিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করলে আল্লাহ তাকে জীবিত করে দেন। অতঃপর রাসূল (ﷺ)-এর উপরে ঈমান আনেন মর্মে আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত হাদীছ কি ছহীহ? অনুরূপভাবে নবীজীর ‘পিতা-মাতা’ উভয়ের ঈমান আনার যে বর্ণনা প্রচলিত আছে, সেগুলো ছহীহ কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : কিছু কিছু এলাকায় সাহারীতে মানুষ ডাকার জন্য মাইকে বিভিন্ন ইসলামী গযল ও কুরআন তেলাওয়াত বাজানো হয়। এটা কি শরী‘আত সম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : অনেকেই বিশুদ্ধ আক্বীদা সম্পর্কে উদাসীন। প্রকৃতপক্ষে বিশুদ্ধ আক্বীদার প্রতিদান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : কারো খাবার হালাল না-কি হারাম এটা যদি জানা না যায়, তাহলে তার খাবার গ্রহণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৯) : জনৈক বক্তা বলেন, যে বান্দা রামাযানের ছিয়াম পালন করে তার সাথে প্রত্যেক দিন তাঁবুতে সুরক্ষিত হুরদের মধ্য হতে একজনকে বিবাহ দিয়ে দেন। প্রত্যেক স্ত্রীর সাথে ৭০টি দামী কাপড় থাকবে। প্রত্যেকটির রং হবে পৃথক পৃথক। তাকে ৭০ প্রকারের সুগন্ধিযুক্ত রং দেয়া হবে। এক রঙের সাথে অন্য রঙ মিলবে না। প্রত্যেকেই বসে থাকবে হীরার খাটে, যাতে মুক্তা দ্বারা বিন্যস্ত করা থাকবে ৭০টি বিছানা, যার আস্তর থাকবে রেশমের। ৭০টি বিছানার উপর থাকবে ৭০টি পালঙ্ক। প্রত্যের স্ত্রীর জন্য থাকবে ৭০ জন্য সেবিকা, যারা তার সেবা করবে। আর ৭০ জন সেবিকা থাকবে তার সাথে মুলাক্বাতের জন্য। আর প্রত্যেক সহচরের সাথে থাকবে অনেক সম্ভ্রান্ত সাথী। জান্নাতে স্বর্ণের পাত্র থাকবে তাতে বিভিন্ন রঙের খাবার থাকবে। প্রথম যে স্বাদ পাওয়া যাবে শেষেও সে স্বাদ পাওয়া যাবে। আর তার স্বামীকেও অনুরূপ লাল হীরার খাট দেয়া হবে, যার উপর দু’টি স্বর্ণের বালা থাকবে, যা বিন্যস্ত থাকবে লাল হীরা দ্বারা। এটা রামাযানের প্রত্যেক দিন ছিয়াম পালনকারীর জন্য, অন্য নেক আমলের জন্য নয় (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর হা/৯৬৭)। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ