উত্তর : উক্ত বিবাহ বৈধ হবে ইনশাআল্লাহ। কেননা ঐ মেয়ের সঙ্গে এই ছেলের রক্তের বা বংশীয় কোন সম্পর্ক নেই। সর্বোপরি আল্লাহ তা‘আলা সূরা নিসার ২৩ নং আয়াতে যে সমস্ত মহিলার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া হারাম করেছেন, এ তাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মতিক্রমে এই পদ্ধতিতে বিবাহ বৈধ’ (ফাতাওয়া আল-কুবরা, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৬৩)।
সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটিকে একই প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তাঁরা বলেন, ‘মেয়ের মায়ের সঙ্গে ছেলের বাবা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও কিন্তু প্রশ্নে উল্লেখিত ছেলে-মেয়ের মধ্যে বিবাহ বন্ধন জায়েয হবে। কেননা তারা আপসে রক্তসম্পর্কের কেউ নয়’ (আল-ফাতাওয়াতুল জামি‘আহ লিল মার’আতিল মুসলিমাহ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬০০)। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘হ্যাঁ! নিজের প্রথম পক্ষের ছেলের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর পূর্বের স্বামীর পক্ষের মেয়ের সঙ্গে বিবাহ দেয়া দোষনীয় নয়’ (ইবনু বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ র্দাব, ২০তম খণ্ড, পৃ. ২৮৯)।
ইমাম ইবনু কুদামা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তির বর্তমান স্ত্রী ব্যতীত অন্য স্ত্রীর পক্ষ থেকে কোন পুত্র সন্তান থাকে, আর বর্তমান স্ত্রীরও যদি পূর্বের স্বামীর পক্ষ থেকে কোন কন্যা সন্তান থাকে অর্থাৎ যাদের পিতা-মাতা উভয়ই পৃথক পৃথক, তাহলে এক্ষেত্রে ফিক্বহ বিশারদগণের সর্বসম্মতিক্রমে তাদের একে অপরের সঙ্গে বিবাহ দেয়া বৈধ। কেননা তাদের উভয়ের মধ্যে কোন রক্তসম্পর্ক নেই এবং নিষিদ্ধ হওয়ার মত কোন কারণও পরিলক্ষিত হয় না। যদিও তারা সম্পর্কে ভাই-বোন হচ্ছে, কিন্তু এই মৌখিক সম্পর্কের কারণে তারা একে অপরের জন্য হারাম হয়ে যাবে না’ (আল-মুগনী, ৯ম খণ্ড, পৃ. ৫৪৩; আল-মুক্বনী‘, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৩২৫; আশ-শারহুল কাবীর, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৪৭৬)।
প্রশ্নকারী : যিয়া, গাজীপুর।