উত্তর : রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে যব্হ করে আল্লাহ তাকে লা‘নত করেন...’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৭৮)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন, ‘হাদীছটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, যে সব নবী ও আউলিয়া মারা গেছেন তাদের বরকত লাভের জন্য যব্হ করা কিংবা জিনদের জন্য যব্হ করা, তাদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিংবা তারা কিছু প্রয়োজন পূরণ করে দেবে সেই আশায় কিংবা তারা কোন ক্ষতি দূরীভূত করবে সেই উদ্দেশ্য নিয়ে যব্হ করা হারাম। যেহেতু এ ধরণের যবাই বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত, যা ব্যক্তিকে আল্লাহ্র লা‘নত ও গযবের উপযুক্ত করে তোলে। পক্ষান্তরে অতিথিদের প্রতি সম্মান দেখাতে গিয়ে কিংবা পরিবারের সদস্যদেরকে কিছুটা উৎফুল্লতা দিতে গিয়ে যব্হ করা এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে পশু যব্হ করে সেটি মৃতদের উদ্দেশ্যে ছাদাক্বাহ করা এবং জীবিত ও মৃত সকলের জন্য আল্লাহর কাছে এর ছাওয়াব আশা করা জায়েয। বরং এটি একটি ইহসান, যার বদৌলতে আল্লাহর কাছে ছাওয়াব আশা করা যায়। একই কথা প্রযোজ্য কুরবানীর দিনে যব্হকৃত পশুগুলোর ক্ষেত্রে’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১/১৯৬ পৃ.)। অন্যত্র তাঁরা বলেন, ‘অতিথির জন্য পশু যব্হ করা জায়েয। যব্হ করার সময় আল্লাহর নামে যব্হ করতে হবে। এ ধরণের যব্হ আল্লাহ তা‘আলার এ বাণীর সার্বিকতার অধিভুক্ত নয়, ‘এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য যব্হ করা হয়েছে’ (সূরা আল-মায়িদাহ: ৫)। এখানে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য যব্হ করা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, মৃতব্যক্তি ও তাদের মত অন্য কারো নৈকট্য হাছিলের জন্য যব্হ করা। পক্ষান্তরে মেহমানের জন্য যব্হ করা, এর উদ্দেশ্য হলো মেহমানকে সম্মান করা, তার ইবাদত করা নয়। কেননা রাসূল (ﷺ) মেহমানকে সম্মান করার নির্দেশ দিয়েছেন (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১/২২৫ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রাকীব, মাদারীপুর।