উত্তর : কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানে সমৃদ্ধ এবং বিশুদ্ধ আক্বীদার উপরে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বস্ত শিক্ষকের নিকট ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সর্বাবস্থায় বিদ‘আতী এবং অবিশ্বস্ত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকতে হবে। এটাই ইসলাম শিক্ষার মূলনীতি। কোন বিদ‘আতী শিক্ষকের নিকট কুরআনের তাজবীদ বা এই সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন করা বৈধ নয়। কেননা যে ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করতে পারে এবং তাজবীদের প্রাথমিক ও মৌলিক বিষয়গুলো জানে তার জন্য তাজবীদের ইতিহাস এবং এই সংক্রান্ত বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করা ফরয নয় বরং মুস্তাহাব। শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে প্রশ্ন করা হয় যে, কোন বিদ‘আতীর নিকট কুরআন শিক্ষা করা কি জায়েয? উত্তরে তিনি বলেন,
لا تتعلم القرآن من مبتدع؛ لأنه يخشى منه أن يقلده المتعلمون منه، والناس سواه كثيرون
‘বিদ‘আতীর নিকট কুরআন শিক্ষা করিও না। কেননা আশঙ্কা আছে যে শিক্ষার্থীরা তার তাক্বলীদ (অন্ধ অনুকরণ) করবে। কুরআন শেখানোর জন্য বিদ‘আতী ছাড়াও বহু মানুষ আছে’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসইল, ২৬/২৫২ পৃ.)। তবে হ্যাঁ, যদি কোন ব্যক্তি ন্যূনতম ছালাত শুদ্ধ হওয়ার মত কুরআন তিলাওয়াত না জানে এবং বিশুদ্ধ আক্বীদাসম্পন্ন কোন শিক্ষক না পাওয়া যায়, তাহলে সে ক্ষেত্রে বাধ্যগত অবস্থায় বিদ‘আতী শিক্ষকের নিকট সর্বনিম্ন ছালাত শুদ্ধ হওয়ার মত কুরআন শিখতে পারবে। তবে সতর্ক থাকবে যেন, উক্ত শিক্ষকের কোন বিদ‘আত এবং গোমরাহিমূলক আক্বীদা- বিশ্বাস যেন তার উপর প্রভাব সৃষ্টি করতে না পারে।
প্রশ্নকারী : আখতারুল ইসলাম, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।