সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:২১ অপরাহ্ন
উত্তর : নিজেকে বিস্ফোরিত করা আত্মহত্যার অন্তর্ভুক্ত, যা হারাম। কেননা মহান আল্লাহ বলেছেন, وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ‘তোমরা নিজেদেরকে হত্যা কর না’ (সূরা আন-নিসা : ২৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, من قَتَلَ نَفْسَهُ بِحَدِيْدَةٍ فَحَدِيْدَتُهُ فِيْ يَدِهِ يَجَأُ بِهَا فِيْ بَطْنِهِ فِيْ نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيْهَا أَبَدًا  ‘যে ব্যক্তি কোন লোহার টুকরা দিয়ে নিজেকে হত্যা করবে, সেই লোহার টুকরা তার হাতে থাকবে এবং সে তা দিয়ে অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনের ভিতরে নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৪৪২; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৯)।

এই ধরনের হামলায় কোন উপকার হয় না অথবা এসব কাজ নিরীহ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয় কিংবা এরকম হামলার দরুন শত্রুপক্ষ এর চাইতে আরও অনেক কঠিন প্রতিশোধ নেয়।   এ প্রশ্নের জবাবে শায়খ আব্দুল আযীয ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি একাধিকবার এই কথা বলেছি যে, এটা গ্রহণযোগ্য না। কারণ এ হচ্ছে নিজেকে হত্যা করা। ... যখন ন্যায়সঙ্গত জিহাদ থাকে, তখন সে মুসলিমদের সাথে থেকে জিহাদে সংগ্রাম করতে পারে, আর সে যদি নিহত হয়, তাহলে প্রশংসা আল্লাহর জন্য। কিন্তু সে যদি নিজেকে হত্যা করে, নিজের শরীরের সাথে বিস্ফোরক বেঁধে, যাতে করে সে তাদের সাথে নিহত হয়, তা হবে ভুল এবং অগ্রহণযোগ্য (https://islamqa.info/ar/answers/217995)। 

শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছালিহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, এমন আত্মঘাতী হামলা যেখানে একজন মানুষ নিশ্চিত যে সে মারা যাবে, তা হারাম; বরং তা বড় গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। ...তদুপরি আল্লাহর জন্য জিহাদের উদ্দেশ্য হল ইসলাম ও মুসলিমদের সুরক্ষা, কিন্তু যে আত্মঘাতী হামলাকারী সে নিজেকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং আত্মহত্যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর একজন সদস্য কমিয়ে দিচ্ছে। তাছাড়াও এর দ্বারা মানুষের ক্ষতিসাধন করা হচ্ছে। কারণ শত্রুপক্ষ (এর প্রতিশোধ নিতে) শুধু একজন ব্যক্তিকেই হত্যা করবে না; বরং তার কারণে তারা যতখানি সম্ভব বেশি মানুষকে হত্যা করবে। তদুপরি এর দ্বারা মুসলিমদের উপর চাপ সৃষ্টি হবে এই আত্মঘাতী হামলাকারীর কারণে যে কিনা শুধু দশ, বিশ কিংবা তিরিশ জনকে হত্যা করেছে। সুতরাং এর ফলে মুসলিমদের উপর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নেমে আসবে, যেমনটা এখন হচ্ছে ফিলিস্তীনী এবং ইহুদীদের ক্ষেত্রে’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ২৫তম খণ্ড, পৃ. ৩৫৮)। তিনি মাজাল্লাত ‘আদ-দাওয়া’তে (১৪১৮ হিজরি) বলেছেন, رأيي في هذا أنه قاتل نفسه، وأنه سيعذَّب في جهنَّم بما قتل به نفسَه؛  ‘আমার মতামত হচ্ছে যে, এমন ব্যক্তি নিজেকে হত্যা করছে এবং নিজেকে হত্যা করার জন্য তাকে জাহান্নামে শাস্তি দেয়া হবে’ (মাজাল্লাতে আদ-দাওয়াহ’ দ্র.)।


প্রশ্নকারী : শিহাবুদ্দীন, লক্ষ্মীপুর।





প্রশ্ন (১৩) : নিজ পরিবার রেখে জীবিকার জন্য প্রবাসে চাকরি করা কি বৈধ? এভাবে কতদিন থাকা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে যে সমস্ত মুসলিম সেক্যুলার রাজনীতির সমর্থক বা কর্মী, তাদের সম্পর্কে আহলেহাদীছদের আকীদা কী হবে এবং তাদের সাথে সামাজিক সম্পর্ক কিভাবে মূল্যায়ন করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : নিম্নের দু‘আটি পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে মোবাইলে মেসেজগুলো পাঠানো কি শরী‘আতসম্মত? যেমন ঈদুল ফিতর, আযহা, রামাযান, মুহররম ইত্যাদি। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : বিপদে পরে শাশুড়ী জামাইয়ের নিকট থেকে কিছু ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। এখন শাশুড়ী ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম। জামাই নিতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) :  জনৈক আলেম বলেছেন, মুমিনরা সবাই আল্লাহর ওলী। কিন্তু অন্যজন বলেছেন, কারা আল্লাহর ওলী তা আমরা কেউই জানি না। এ বিষয়ে সঠিক সমাধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ইসলামের দৃষ্টিতে আদর্শ পোশাকের বৈশিষ্ট্য কেমন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : কেউ যদি এই বলে মানত করে থাকে যে, কোন একটা কাজে সফল হলে সে আল্লাহর শুকরিয়া উদ্দেশ্যে ১০০ রাক‘আত নফল ছালাত পড়বে। সেটা কি জায়েয হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : মৃত বা জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে বদলী ওমরাহ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : জনৈক সরকারী কর্মচারীর ধারণা হল- সরকারী চাকরি করা তাক্বওয়ার খেলাফ এবং ত্বাগূতের অনুসরণ করতে হয়। এজন্য অন্য কোথাও চাকরি করা বা ব্যবসা করা ভাল। এমন ধারণা পোষণ করা সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : ত্বালাক্বপ্রাপ্তা স্ত্রীকে অন্যের কাছে রেখে হালালা করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : ধুমপান নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ