সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
উত্তর : মিহরাব (مِحْرَابٌ) অর্থ যুদ্ধাস্ত্র রাখার জায়গা বা অস্ত্রাগার। শারঈ অর্থে ইমামের ছালাত আদায় করার নির্দিষ্ট জায়গাকে মিহরাব বলে। প্রথমতঃ মসজিদের অংশ হিসাবে ‘মিহরাব’ নির্মাণ করা যাবে কি-না? এ ব্যাপারে আলেমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। তবে অধিকাংশ আলিম জায়েয বলেছেন। এ প্রসঙ্গে সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহ সার্বিক সুবিধার্থে এবং ক্বিবলাহ নির্ধারণ ও মসজিদের স্থান স্পষ্ট করার উদ্দেশ্যে স্বর্ণযুগের পর থেকেই মুসলিমরা মসজিদে মিহরাব নির্মাণ শুরু করে’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ২৫২-২৫৩)।

শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রশস্ততা রয়েছে। প্রয়োজনে মসজিদে মিহরাব নির্মাণ করা বৈধ। নির্মাণ করাটাও দোষনীয় নয়, আবার না করাটাও দোষনীয় নয়’ (ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট)। শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এ ব্যাপারে আলেমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে, তবে প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী মসজিদে মিহরাব নির্মাণ করা জায়েয। কেননা এর মধ্যে বিবিধ কল্যাণ নিহিত রয়েছে। যেমন, ক্বিবলা নির্ধারণ করা ইত্যাদি’ (উছায়মীন, মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ১২তম খণ্ড, পৃ. ৩২৬-৩২৭)।

শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘ইমামের ছালাত আদায় করার জায়গা মিহরাব রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে এবং প্রথম শতাব্দীতেও বিদ্যমান ছিল না। দ্বিতীয় শতাব্দীতে বিবিধ কারণে মুসলিমরা তাদের মসজিদে মিহরাব নির্মাণের প্রচলন শুরু করেন’ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৬৮৮২৭)।

দ্বিতীয়তঃ মসজিদের অবস্থান অনুযায়ী মিহরাবের ভিতরে বা বাইরে যে কোন স্থানে ইমাম দাঁড়াতে পারেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, পিছনের মুছল্লীগণ যেন ইমামকে দেখতে পায় (মাতালিবু উলিন নুহা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৯৬, ৬৯৬; আশ-শারহুল মুমতি‘, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৭৫; ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৩২২৪৪)। বিশেষ করে মসজিদ যখন প্রশস্ত হবে, তখন ইমাম যেন মিহরাব থেকে এতটা পিছিয়ে দাঁড়ায়, যাতে মুছল্লীরা তাঁকে দেখতে পায় (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-২০৩১)।


প্রশ্নকারী : আবূ বকর ছিদ্দীক, রাজবাড়ী, রাজশাহী।





প্রশ্ন (২২) : কবর ও মসজিদের মাঝে বড় রাস্তা থাকলে সেই মসজিদে ছালাত বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : জনৈক মুফতি বলেন, নবী (ﷺ)-এর কবরের মাটি আল্লাহর আরশ থেকেও শ্রেষ্ঠ। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : আমি অবিবাহিত যুবক। আমি ছোটখাট পরিবহন ব্যবসা ব্যবসায় জড়িত ছিলাম। কিন্তু দুই বছর পরে শয়তানের ধোঁকায় পরে ব্যভিচারে লিপ্ত হই। দুঃখজনক বিষয় হলো এর কিছুদিন পরে আমার গাড়ি চুরি হয়ে যায়। এভাবে আমার ব্যবসা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। আমি খুবই অনুতপ্ত। প্রশ্ন হল- আমি কি আল্লাহর ক্ষমা পাব এবং আমার বিবাহের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : আমার বাবা একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। তার কাজ মূলত সদস্যকে ঋণ দেয়া। তার ইনকাম কি হালাল? যদি হালাল না হয় তাহলে তিনি তার বেতনের টাকা দিয়ে আমাকে একটি মোবাইল এবং একটি ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন। এখন আমি এই মোবাইল বা ল্যাপটপ দিয়ে যদি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বা কোন কাজ করে টাকা ইনকাম করি তাহলে সেই টাকা কি হালাল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : যারা আল্লাহর ঘর ধ্বংস করে (মসজিদ ভেঙ্গে দেয় বা আগুনে পুড়িয়ে দেয়) ইসলামী শরী‘আতে তাদের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : ভাড়া দেয়া হয়েছে এমন বাড়ীর যাকাত দেয়ার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ‘ঈমান ও ইসলাম’-এর অর্থ ও পার্থক্য কী? এতোদুভয়ের মধ্যে কোন্টি আগে গ্রহণ করা মানুষের জন্য প্রয়োজন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : শীতের কারণে কাপড় অথবা চামড়ার মোজা ব্যবহার করা হয়। মোজার উপর কিভাবে কয়দিন যাবত মাসাহ করতে হবে? অনেক বলেন, চামড়ার মোজা ছাড়া মাসাহ করা যাবে না’। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : বর্তমানে অধিকাংশ মুদির দোকানে বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা ইত্যাদি বিক্রয় করা হয়। প্রশ্ন হল- এ সকল হারাম জিনিস বিক্রয়ের কারণে কি দোকানের অন্য জিনিসগুলো বিক্রয় হারাম হয়ে যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) স্বামী যদি স্ত্রীকে পীরের মুরীদ হতে বলে এবং পীরকে সিজদা করতে বাধ্য করে, সেক্ষেত্রে স্ত্রীর করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ছালাত কি ব্যক্তিগত ইবাদত? কারণ অনেককে ছালাতের জন্য ডাকলে তারা বলে, নামাজ পড়া না পড়া আমার ব্যাপার। এ ধরনের কথা বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) :  যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদে বিশ্বাস করে, কিন্তু কিছু দায়িত্ব পালনে অলসতা পোষণ করে তার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ