বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৫:০২ অপরাহ্ন
উত্তর : ইসলামের প্রথম যুগে পবিত্র কুরআনে রুকূ‘ সংযোগ করা হয়নি। যতটুকু জানা যায় তা হল, সর্বপ্রথম বুখারা অঞ্চলের হানাফী আলেমগণ তারাবীহ ছালাতের ক্বিরাআতের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য রুকূ‘ পরিভাষাটি আবিষ্কার করেন। অর্থাৎ প্রত্যেক রাক‘আতে এক রুকূ করে পড়লে প্রতিদিন বিশ রাক‘আতে ২০ রুকূ‘ পড়া যাবে। আর ২৭ রামাযান কুরআন খতম করলে ২৭ গুণ ২০= ৫৪০টি রুকূ‘ হয়। আর সেজন্যই কুরআনে ৫৪০টি রুকূ‘ নির্দেশ করা হয়েছে (মুছত্বলাহুর রুকূ‘ ফিল মাছাহেফ, ৩৯-৪০)। 

ইমাম আস-সারখাসী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ক্বাযী ইমাম ইমাদুদ্দীন (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত আছে যে, বুখারা নগরীর শায়েখগণ কুরআনকে পাঁচশ‘ চল্লিশ রুকূ‘তে বিভক্ত করেন (আল-মাবসুত, ২/১৪৬)। আব্দুল কাইয়ূম বিন আব্দুল গফুর আস-সিন্দী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, রুকূ‘র উল্লেখিত পরিভাষাটি হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর শেষলগ্নে এবং চতুর্থ শতাব্দীর শুরুর দিকে সৃষ্টি হয় এবং তখন থেকেই এ পরিভাষাটি বুখারা নগরী, ট্রান্স অক্সিয়ান অঞ্চল, তুরস্ক ও ভারত উপমহাদেশের কুরআনগুলোতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

অতঃপর উসমানি খেলাফতের পর তুরস্ক থেকে এটা উঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ তার আশেপাশের দেশগুলোতে তা থেকেই যায় (মুছত্বলাহুর রুকূ‘ ফিল-মাছাহেফ, ৩৯)।

যেহেতু রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ছাহাবায়ে কেরাম থেকে তারাবীহর ছালাত নির্দিষ্টভাবে ২০ রাক‘আত প্রমাণিত নয়, সেহেতু উক্ত রুকূ‘ গণনার কোন প্রয়োজন নেই। আর এটা কুরআনের মধ্যে সংযোগ করাও উচিত হয়নি। তাছাড়া ২০ রাক‘আত তারাবীহ্র ব্যাপারে যে সমস্ত বর্ণনা এসেছে, সেগুলো জাল, যঈফ ও মুনকার। পক্ষান্তরে ১১ রাক‘আতের পক্ষেই ছহীহ হাদীছ সমূহ বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া ২৭ তারিখে খতম করতে হবে এরও কোন দলীল নেই (এ বিষয়ে বিস্তারিত দ্রঃ তারাবীহর রাক‘আত সংখ্যা : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক বই)।

উল্লেখ্য, উপমহাদেশীয় নুসখায় শুধু রুকূ‘ যোগ করা হয়নি, বরং আরো অনেক কিছুই বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেমন তা‘বীযের ব্যবসা করার জন্য তা‘বীযের শিরকী নকশা যুক্ত করা হয়েছে। কুরআন খতমের জন্য বিশাল বানোয়াট দু‘আ সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে কুরআন বখশানোর জন্য বিদ‘আতী পদ্ধতিও উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে মোট ১৫টি তেলাওয়াতে সিজদা রয়েছে। অথচ লেখা হয়েছে ১৪টি সিজদা। আর সূরা হজ্জের দ্বিতীয় সিজদার স্থানে লেখা হয়েছে এটি ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর নিকট। অর্থাৎ এই সিজদাটি ধরাই হয় না। আরো অনেক বানোয়াট কথাও কুরআনের প্রথমে ও শেষে সংযোগ করা হয়েছে। তাই এগুলো থেকে সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।

প্রশ্নকারী : ফযলে রাব্বী, নাটোর।





প্রশ্ন (৪) : সন্তান নেশার সাথে জড়িত হলে করণীয় কী? শাসনের জন্য সামাজিক বা প্রশাসনিক সাহায্য নেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : জাহান্নামের স্তর কয়টি? কারা কোন্ স্তরে প্রবেশ করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : তাফসীর ইবনু আব্বাস কি ছহীহ সনদে প্রমাণিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : রামাযানের ক্বাযা ছিয়াম দ্রুত আদায় করতে হবে, না-কি বিলম্বে আদায় করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : লোকসানের অংশীদার হবে এমন শর্তে কোন ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে তার লভ্যাংশ গ্রহণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : তাবলীগ জামাতের জনৈক ব্যক্তি বলেন, হাদীছে এসেছে, ‘সর্বপ্রথম রহমত অবতীর্ণ হয় বাইতুল্লাহ তথা কা‘বা ঘরের উপর। তারপর সেখান থেকে অন্যান্য মসজিদে তা ভাগ করা হয়’। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : খাৎনা করার সময় মুখে মিষ্টি দেয়া হয়, অনুষ্ঠান করা, গানবাজনা করা এবং গোসল দেয়ার সময় বিভিন্ন নিয়ম পালন করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৫) : ইসলামী শরী‘আতে ‘উকীল বাবা’-এর কোন বিধান আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) শস্যের যাকাত কখন ফরয হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : কোন মহিলা তার স্বামীর কাছ থেকে খোলা ত্বালাক্ব নিলে বা বিবাহ বিচ্ছিন্ন করলে কতদিন ইদ্দত পালন করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : পরিবারের একজন কুরবানী করলে সবার পক্ষ থেকে তা হয়ে যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫): আমার বিয়ের সময় পাওয়া প্রায় ১২ ভরির উপরে অলংকার আছে। আমাকে আমার স্বামী প্রতি মাসে হাত খরচের জন্য যে টাকা দেন তা জমিয়ে রাখি। কিন্তু আমার অন্য কোন ইনকাম নেই। তাই আমার উপর যে যাকাত ফরয তার অর্থ কি আমি আমার স্বামীর কাছ থেকে নিতে পারব? না-কি আমাকেই তা নিজস্ব অর্থ দিয়ে আদায় করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ