শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
উত্তর : ইসলামের প্রথম যুগে পবিত্র কুরআনে রুকূ‘ সংযোগ করা হয়নি। যতটুকু জানা যায় তা হল, সর্বপ্রথম বুখারা অঞ্চলের হানাফী আলেমগণ তারাবীহ ছালাতের ক্বিরাআতের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য রুকূ‘ পরিভাষাটি আবিষ্কার করেন। অর্থাৎ প্রত্যেক রাক‘আতে এক রুকূ করে পড়লে প্রতিদিন বিশ রাক‘আতে ২০ রুকূ‘ পড়া যাবে। আর ২৭ রামাযান কুরআন খতম করলে ২৭ গুণ ২০= ৫৪০টি রুকূ‘ হয়। আর সেজন্যই কুরআনে ৫৪০টি রুকূ‘ নির্দেশ করা হয়েছে (মুছত্বলাহুর রুকূ‘ ফিল মাছাহেফ, ৩৯-৪০)। 

ইমাম আস-সারখাসী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ক্বাযী ইমাম ইমাদুদ্দীন (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত আছে যে, বুখারা নগরীর শায়েখগণ কুরআনকে পাঁচশ‘ চল্লিশ রুকূ‘তে বিভক্ত করেন (আল-মাবসুত, ২/১৪৬)। আব্দুল কাইয়ূম বিন আব্দুল গফুর আস-সিন্দী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, রুকূ‘র উল্লেখিত পরিভাষাটি হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর শেষলগ্নে এবং চতুর্থ শতাব্দীর শুরুর দিকে সৃষ্টি হয় এবং তখন থেকেই এ পরিভাষাটি বুখারা নগরী, ট্রান্স অক্সিয়ান অঞ্চল, তুরস্ক ও ভারত উপমহাদেশের কুরআনগুলোতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

অতঃপর উসমানি খেলাফতের পর তুরস্ক থেকে এটা উঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ তার আশেপাশের দেশগুলোতে তা থেকেই যায় (মুছত্বলাহুর রুকূ‘ ফিল-মাছাহেফ, ৩৯)।

যেহেতু রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ছাহাবায়ে কেরাম থেকে তারাবীহর ছালাত নির্দিষ্টভাবে ২০ রাক‘আত প্রমাণিত নয়, সেহেতু উক্ত রুকূ‘ গণনার কোন প্রয়োজন নেই। আর এটা কুরআনের মধ্যে সংযোগ করাও উচিত হয়নি। তাছাড়া ২০ রাক‘আত তারাবীহ্র ব্যাপারে যে সমস্ত বর্ণনা এসেছে, সেগুলো জাল, যঈফ ও মুনকার। পক্ষান্তরে ১১ রাক‘আতের পক্ষেই ছহীহ হাদীছ সমূহ বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া ২৭ তারিখে খতম করতে হবে এরও কোন দলীল নেই (এ বিষয়ে বিস্তারিত দ্রঃ তারাবীহর রাক‘আত সংখ্যা : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক বই)।

উল্লেখ্য, উপমহাদেশীয় নুসখায় শুধু রুকূ‘ যোগ করা হয়নি, বরং আরো অনেক কিছুই বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেমন তা‘বীযের ব্যবসা করার জন্য তা‘বীযের শিরকী নকশা যুক্ত করা হয়েছে। কুরআন খতমের জন্য বিশাল বানোয়াট দু‘আ সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে কুরআন বখশানোর জন্য বিদ‘আতী পদ্ধতিও উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে মোট ১৫টি তেলাওয়াতে সিজদা রয়েছে। অথচ লেখা হয়েছে ১৪টি সিজদা। আর সূরা হজ্জের দ্বিতীয় সিজদার স্থানে লেখা হয়েছে এটি ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর নিকট। অর্থাৎ এই সিজদাটি ধরাই হয় না। আরো অনেক বানোয়াট কথাও কুরআনের প্রথমে ও শেষে সংযোগ করা হয়েছে। তাই এগুলো থেকে সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।

প্রশ্নকারী : ফযলে রাব্বী, নাটোর।





প্রশ্ন (৩৮) : বিকাশে লেনদেন করলে বিভিন্ন সময় ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। এই ক্যাশব্যাক কি গ্রহণ করা যাবে? আবার বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলে বছর শেষে চার্জ কাটা হয়। এই ব্যাংক চার্জ কি ঐ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত সূদের টাকা থেকে বাদ দেয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : নারীদেরকে পড়িয়ে প্রাপ্ত বেতনের অর্থ হালাল হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : গুল ব্যবহার করলে ছিয়াম নষ্ট হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : মসজিদে সুতরা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : মসজিদকে কিভাবে পরিচ্ছন্ন রাখা যায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : মৃত ব্যক্তির নামে যে খানার আয়োজন করা হয়, সে খাবার কি পরিবারের অন্য সদস্যরা খেতে পারবে?   - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : জর্দা ছাড়া শুধু পান-সুপারি খাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : যে ব্যক্তির কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে এবং প্রতিদিন তার ডায়ালেসিস করতে হয়। সে ছিয়াম রাখতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : আহলে কুরআনদের দাবী হল, আল্লাহ কেবল কুরআন হেফাযতের দায়িত্ব নিয়েছেন, হাদীছের হেফাযতের দায়িত্ব নেননি। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : বিতরের কুনূতে নিজ মাতৃভাষায় দু‘আ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : মসজিদের কাতারের মাঝে পিলার থাকলে ঐ কাতারে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : খেলার মাঠে আল্লাহর শোকর আদায় করে খেলোয়াড়রা যে সিজদাহ করে সেটা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ