সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন
উত্তর : ইসলামের প্রথম যুগে পবিত্র কুরআনে রুকূ‘ সংযোগ করা হয়নি। যতটুকু জানা যায় তা হল, সর্বপ্রথম বুখারা অঞ্চলের হানাফী আলেমগণ তারাবীহ ছালাতের ক্বিরাআতের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য রুকূ‘ পরিভাষাটি আবিষ্কার করেন। অর্থাৎ প্রত্যেক রাক‘আতে এক রুকূ করে পড়লে প্রতিদিন বিশ রাক‘আতে ২০ রুকূ‘ পড়া যাবে। আর ২৭ রামাযান কুরআন খতম করলে ২৭ গুণ ২০= ৫৪০টি রুকূ‘ হয়। আর সেজন্যই কুরআনে ৫৪০টি রুকূ‘ নির্দেশ করা হয়েছে (মুছত্বলাহুর রুকূ‘ ফিল মাছাহেফ, ৩৯-৪০)। 

ইমাম আস-সারখাসী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ক্বাযী ইমাম ইমাদুদ্দীন (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত আছে যে, বুখারা নগরীর শায়েখগণ কুরআনকে পাঁচশ‘ চল্লিশ রুকূ‘তে বিভক্ত করেন (আল-মাবসুত, ২/১৪৬)। আব্দুল কাইয়ূম বিন আব্দুল গফুর আস-সিন্দী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, রুকূ‘র উল্লেখিত পরিভাষাটি হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর শেষলগ্নে এবং চতুর্থ শতাব্দীর শুরুর দিকে সৃষ্টি হয় এবং তখন থেকেই এ পরিভাষাটি বুখারা নগরী, ট্রান্স অক্সিয়ান অঞ্চল, তুরস্ক ও ভারত উপমহাদেশের কুরআনগুলোতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

অতঃপর উসমানি খেলাফতের পর তুরস্ক থেকে এটা উঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ তার আশেপাশের দেশগুলোতে তা থেকেই যায় (মুছত্বলাহুর রুকূ‘ ফিল-মাছাহেফ, ৩৯)।

যেহেতু রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ছাহাবায়ে কেরাম থেকে তারাবীহর ছালাত নির্দিষ্টভাবে ২০ রাক‘আত প্রমাণিত নয়, সেহেতু উক্ত রুকূ‘ গণনার কোন প্রয়োজন নেই। আর এটা কুরআনের মধ্যে সংযোগ করাও উচিত হয়নি। তাছাড়া ২০ রাক‘আত তারাবীহ্র ব্যাপারে যে সমস্ত বর্ণনা এসেছে, সেগুলো জাল, যঈফ ও মুনকার। পক্ষান্তরে ১১ রাক‘আতের পক্ষেই ছহীহ হাদীছ সমূহ বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া ২৭ তারিখে খতম করতে হবে এরও কোন দলীল নেই (এ বিষয়ে বিস্তারিত দ্রঃ তারাবীহর রাক‘আত সংখ্যা : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক বই)।

উল্লেখ্য, উপমহাদেশীয় নুসখায় শুধু রুকূ‘ যোগ করা হয়নি, বরং আরো অনেক কিছুই বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেমন তা‘বীযের ব্যবসা করার জন্য তা‘বীযের শিরকী নকশা যুক্ত করা হয়েছে। কুরআন খতমের জন্য বিশাল বানোয়াট দু‘আ সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে কুরআন বখশানোর জন্য বিদ‘আতী পদ্ধতিও উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে মোট ১৫টি তেলাওয়াতে সিজদা রয়েছে। অথচ লেখা হয়েছে ১৪টি সিজদা। আর সূরা হজ্জের দ্বিতীয় সিজদার স্থানে লেখা হয়েছে এটি ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর নিকট। অর্থাৎ এই সিজদাটি ধরাই হয় না। আরো অনেক বানোয়াট কথাও কুরআনের প্রথমে ও শেষে সংযোগ করা হয়েছে। তাই এগুলো থেকে সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।

প্রশ্নকারী : ফযলে রাব্বী, নাটোর।





প্রশ্ন (৩০) : নাপাক বা ওযূবিহীন অবস্থায় ইমামতি করলে ইমাম-মুক্তাদি উভয়কেই পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে? নাকি শুধু ইমাম আদায় করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : জনৈক আলেম বলেন, কেউ যদি মদীনায় মারা যায় তবে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জন্য সুপারিশ করবেন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : কেমন মেয়েকে বিয়ে করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : কেউ যদি কবিরাজ দ্বারা টাকার বিনিময়ে জাদু করায়, তাহলে সে কি কাফির হয়ে যায়? শরী‘আতে জাদুর বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪১) : জনৈক আলেম বলেন, যে ব্যক্তি সফর অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে শহীদ হয়ে মারা গেল। উক্ত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : আক্বীদা ও মানহাজার মধ্যে পার্থক্য কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : ডিফেন্সে চাকরি করতে হলে ট্রেনিংয়ের ছয় মাস নিয়মিত দাড়ি ক্লিন সেভ করতে হয়। আবার ট্রেনিং সম্পূর্ণ করে দাড়ি রাখার সুযোগ আছে। সাময়িকভাবে দাড়ি কেটে এই চাকুরী করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : কোন্ ধরনের আলেমের নিকট থেকে ইলম বা ফাতাওয়া নেয়া যাবে না? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : মানহাজ কাকে বলে? মানহাজ কোন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? জনৈক আলিম বলেন, প্রত্যেক মুসলিমের উপর ‘সালাফী মানহাজ’ অনুসরণ করা আবশ্যক। প্রশ্ন হল- ‘সালাফী মানহাজ’ বলতে কী বুঝায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : যে ব্যক্তি রামাযান মাসের শেষ জুমু‘আয় দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয ছালাত আদায় করবে তার ঐ বছরের ছুটে যাওয়া ছালাতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। উক্ত বর্ণনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : দাঁতের কোন সমস্যা নেই তবে দাঁতগুলো হলদে। যার কারণে সংকোচবোধ হয়। এমতাবস্থায় স্থায়ীভাবে দাঁতকে সাদা রং করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : যে ইমাম তাবীযের ব্যবসা করে তার পিছনে কি ছালাত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ