উত্তর : জাদু চর্চা করা ও বিশ্বাস করা কুফরী। মূলত এটি শিরকে আকবার এবং তাওহীদী আক্বীদার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। যা শয়তানের কাজ। কেননা অনেক জাদু এমন রয়েছে, যা শিরকের আশ্রয় নেয়া এবং খারাপ আত্মার নৈকট্য অর্জন করা ব্যতীত কার্যকর হয় না। তাই কম হোক বা বেশী হোক জাদুবিদ্যা সম্পূর্ণরূপে হারাম (ফাওযান, আল-ইরশাদু ইলা ছহীহিল ইতিক্বাদ ওয়ার রাদ্দি ‘আলা আহলিশ শিরকি ওয়াল ইলহাদ, পৃ. ৯২; ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৮০)। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ ‘তারা অবশ্যই অবগত আছে, যে ব্যক্তি তা ক্রয় করে নিয়েছে, পরকালে তার কোন অংশ নেই’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১০২)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَكِنَّ الشَّيَاطِيْنَ كَفَرُوْا يُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ ‘সুলায়মান কুফরী করেনি, বরং শয়তানরাই কুফরী করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা শিক্ষা দিত’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১০২)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, يُؤْمِنُوْنَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوْتِ ‘তারা জিবত ও ত্বাগূতকে বিশ্বাস করে’ (সূরা আন-নিসা : ৫১)। উক্ত আয়াতে ‘জিবত’ অর্থ হল জাদু আর ত্বাগূত অর্থ হল শয়তান (তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৪; আল-ক্বাওলুস সাদীদ শারহু কিতাবিত তাওহীদ, পৃ. ৯৮)। উল্লেখ্য, জাদুমন্ত্রের সাহায্যে অর্থ উপার্জন করা হারাম। তবে কুরআন ও হাদীছ সম্মত ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে তা বৈধ (আবূ দাঊদ, হা/৩৯০১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৮৮৫; মিশকাত, হা/২৯৮৬, সনদ ছহীহ)।
প্রশ্নকারী : আসিফ আদনান, ফরীদপুর।