বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
উত্তর : তারতীলসহ ধীরস্থিরতার সাথে তেলাওয়াত করে তারাবীহর ছালাতে কুরআন খতম করা ভাল। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে তারাবীহর ছালাতে কুরআন খতমের বিষয়টি প্রমাণিত নয়। কারণ নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাত্র তিনদিন জামা‘আত সহকারে ক্বিয়ামুল লাইল কিংবা তারাবীহর ছালাত আদায় করেছিলেন। তবে তিনি এক রাক‘আতেই সূরা আল-বাক্বারাহ, সূরা আন-নিসা ও সূরা আলে ‘ইমরান পড়ে (ছহীহ মুসলিম, হা/৭৭২) বরং লম্বা ক্বিরায়াত ও খতমে কুরআনের দিকেই ইঙ্গিত করে গেছেন। তাছাড়া রামাযান মাসে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও জিবরীল (আলাইহিস সালাম) একে অপরকে কুরআন শুনাতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৬, ১৯০২, ৩২২০, ৩৫৫৪, ৪৯৯৭; মুসলিম হা/৩২০৮)। ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তো এই লম্বা ক্বিরাআতে ক্লান্ত হয়ে ভেবেই বসেছিলেন যে, তিনি বসে যাবেন নতুবা এই ছালাতই ছেড়ে দিবেন (ছহীহ বুখারী, হা/১১৩৫; ছহীহ মুসলিম,  হা/৭৭৩)।

তারাবীহতে সালাফগণ কত চমৎকারভাবে কুরআন খতম করতেন তা ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন (জালাউল আফহাম, পৃ. ৪০২-৪০৩)। ইমাম ইবনু কুদামাহ (রাহিমাহুল্লাহ) উল্লেখ করেন যে, ফযল ইবনু যিয়াদ আহমাদ ইবনু হান্বাল (রাহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞেস করেন, আমি কি তারাবীহর ছালাতে কুরআন খতম করব, না-কি বিতরের ছালাতে? প্রতুত্তরে তিনি বললেন, তারাবীহর ছালাতে’ (আল-মুগনী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৯৬)।

খতমে তারাবীহ সম্পর্কে শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ধীরস্থিরতার সাথে শব্দের অন্তর্নিহিত অর্থ চিন্তা করে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে খতম তারাবীহ পড়া ভালো। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রাহিমাহুল্লাহ) পসন্দ করতেন যে,  রামাযান মাসে ইমাম মুক্তাদীদের পুরো কুরআন শুনাবে। এ আমল সালাফে ছালিহীনের যুগ থেকে চলে আসছে। কিন্তু একাগ্রতা, একনিষ্ঠতা ও ধীরস্থিরতাকে ত্যাগ করে, দ্রুতগতিতে তুফানের বেগে তিলাওয়াত করে, খতম না করাই উত্তম’ (ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ১১তম খণ্ড, পৃ. ৩৩১-৩৩৩)।

শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালেহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তারাবীহতে কুরআন খতম করা ইমামের প্রতি ওয়াজিব নয়। কেননা মহান আল্লাহ বলেন ‘তোমাদের জন্য যা সহজসাধ্য তাই পাঠ কর’ (সূরা আল-মুযযাম্মিল : ২০)। অতঃপর  তিনি বলেন, ‘যদি ইমাম তারাবীহর ছালাতে এই উদ্দেশ্যে কুরআন খতম করে যে, তার পিছনে অংশগ্রহণকারী মুছল্লীবৃন্দ মহান আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কিতাব শ্রবণ করবে তবে তা অতি উত্তম হবে’ (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দার্ব, ১৬১/১৬)। উল্লেখ্য, তারাবীহর ছালাত জামা‘আত সহকারে আদায় করা উত্তম (তিরমিযী, হা/৮০৬;, আবূ দাঊদ, হা/১৩৭৫, সনদ ছহীহ; ইসলাম সুওয়াল ও জাওয়াব, প্রশ্ন নং-৪৮৯৫৭ )।


প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, বগুড়া।





প্রশ্ন (৩৮) : সাত দিনের পূর্বে সন্তান মারা গেলে আক্বীক্বা দেয়া লাগবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : জনৈক ব্যক্তি আগে মিউজিসিয়ান ছিল। আল্লাহর রহমতে সেগুলো এখন সব বাদ দিয়েছে। কিন্তু আগের কিছু বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। সেগুলো বিক্রয় করে প্রাপ্ত অর্থ কল্যাণকর কাজে লাগাতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : ধান, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, আলু ইত্যাদি মওজুদ করে রাখার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) প্রবাসী ছেলে দেশে তার একাউন্টে টাকা জমা করে। যেখান থেকে বাবা টাকা খরচ করেন। কিন্তু ছেলে উক্ত টাকার যাকাত দিতে চায় না। সেক্ষেত্রে বাবাকে সেই টাকার যাকাত আদায় করতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : কোন ব্যক্তি জ্বিনের আছর বা বদনযরে আক্রান্ত কি-না সেটা কিভাবে জানা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : প্রচলিত আছে যে, বিবাহের পূর্বে হজ্জ করা উচিত। উক্ত কথার পক্ষে কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : সহশিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষকতা করে জীবিকা নির্বাহ কি হালাল? এই রকম শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : নবী নূরের তৈরি, আল্লাহ সব জায়গায় বিরাজমান, নবী হাজির নাজির, সবাই মিলে দাঁড়িয়ে তাঁকে সালাম দিতে হবে এবং মাযার সংক্রান্ত কার্যক্রমগুলো জায়েয বলে আক্বীদা পোষণ করে এমন ব্যক্তির পিছনে ছালাত হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : আমার বাবা একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। তার কাজ মূলত সদস্যকে ঋণ দেয়া। তার ইনকাম কি হালাল? যদি হালাল না হয় তাহলে তিনি তার বেতনের টাকা দিয়ে আমাকে একটি মোবাইল এবং একটি ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন। এখন আমি এই মোবাইল বা ল্যাপটপ দিয়ে যদি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বা কোন কাজ করে টাকা ইনকাম করি তাহলে সেই টাকা কি হালাল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : জনৈক আলিম বলেন, ‘ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) মুসলিম জাতির পিতা নন। বরং সকলের জাতির পিতা আদম (আলাইহিস সালাম)। আবার কেউ কেউ বলেন, নবী-রাসূলগণের পিতা হচ্ছেন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৪) : বিনা ওযূতে আযান দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : হালাক্বায়ে যিকির কাকে বলে? সম্মিলিত যিকির করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ