উত্তর : প্রয়োজনে মসজিদে খাওয়া-দাওয়া করা জায়েয। তবে এক্ষেত্রে মসজিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা ও সম্মান বজায় রাখা অপরিহার্য। আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিছ ইবনু জাযই আয-যুবায়দী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,
كُنَّا نَأْكُلُ عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فِي الْمَسْجِدِ الْخُبْزَ وَاللَّحْمَ
‘আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে মসজিদে বসে রুটি ও গোশ্ত আহার করতাম’ (ইবনু মাজাহ, হা/৩৩০০; সিলসিলা ছহীহাহ, ৫/১৫২ পৃ.)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি ও শায়খ ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘প্রয়োজনে মসজিদে খাওয়া, পান করা ও ঘুমানো জায়েয’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৫/৪৩৯; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৬/২৯০ পৃ.)।
তবে মসজিদে চিৎকার, চেঁচামেচি করা মারাত্মক অপরাধ। মসজিদ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সেই সব গৃহ (অর্থাৎ মসজিদ), যাকে মর্যাদায় সমুন্নত করতে এবং যাতে তাঁর নাম স্মরণ করতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে’ (সূরা আন-নূর : ৩৬)। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘উচ্চ করার অর্থ আল্লাহ তা‘আলা মসজিদ সমূহে অনর্থক কাজ ও কথাবার্তা বলতে নিষেধ করেছেন। হাসান বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, رِفْعُ مَسَاجِدَ বলে মসজিদ সমূহের সম্মান, ইজ্জত ও সেগুলোকে নাপাকী ও নোংরা বস্তু থেকে পবিত্র রাখা বুঝানো হয়েছে। আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘আমি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, ‘মসজিদে থুথু ফেলা গোনাহ আর তার কাফ্ফারাহ হল তা দাফন করা, মিটিয়ে দেয়া’ (ছহীহ বুখারী, হা/৪১৫)। অর্থাৎ এখানে সুউচ্চ করার অর্থ, শুধু ইঁট-পাথর দিয়ে সুউচ্চ করা নয়। বরং মসজিদকে অপবিত্রতা, অসার ও অবৈধ কথা ও কর্ম হতে পবিত্র রাখাও এর মধ্যে গণ্য। এ ছাড়াও মসজিদে ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয়, হৈ-হট্টগোল নিষিদ্ধ (তাফসীরে ত্বাবারী, ইবনু কাছীর ও কুরতুবী দ্রষ্টব্য)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, ভারত।