উত্তর : এ ধরনের কথা বলা যাবে না। কারণ মৃত ব্যক্তির কাছে শাফা‘আত চাওয়া বড় শিরকে অন্তর্ভুক্ত। তিনি নবী (ﷺ) হোন বা অন্য কোন আলেম হোন। কারণ নবী (ﷺ) মারা যাওয়ার পরে তিনি এমন কিছুর মালিকানা রাখেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘(হে নবী!) আপনি বলুন, সকল শাফা‘আতের মালিক আল্লাহ (সূরা আয-যুমার: ৪৪)। সুতরাং শাফা‘আতের মালিক আল্লাহ তা‘আলা। কোন মানুষ যখন মারা যায় তখন তার আমল স্থগিত হয়ে যায়; কেবল তিনটি আমল ব্যতীত। যথা: ছাদাকায়ে জারিয়া, এমন ইলম যা দ্বারা অন্যরা উপকৃত হয় এবং এমন সন্তান যে তার জন্য দু‘আ করে। কেবল হাদীছে এতটুকু এসেছে যে, নবী (ﷺ)-এর কাছে তাঁর উপর পেশকৃত দরূদ ও সালাম উপস্থাপন করা হয়। এ জন্য তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আমার প্রতি দরূদ পড়। কেননা তোমরা যেখানেই থাক না কেন তোমাদের দরুদ পাঠ আমাকে পৌঁছানো হয়’ (বাইহাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৪১৬২; সনদ ছহীহ, যঈফুল জামে‘, হা/৭২২৬)।
উল্লেখ্য যে, একটি হাদীছে এসেছে, ‘নবী (ﷺ)-এর কাছে (উম্মতের) আমলগুলো উপস্থাপন করা হয়। যে আমলগুলো তিনি ভালো পান সেগুলোর জন্য আল্লাহর প্রশংসা করেন। আর যে আমলগুলো মন্দ পান সেগুলোর ব্যাপারে তিনি আমাদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন’। কিন্তু হাদীছটি দুর্বল।
প্রশ্নকারী : ফিরোজ, সুজানগর, পাবনা।