উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বা তাঁর ছাহাবীগণ তাওহীদকে উক্ত শ্রেণীতে ভাগ করেননি। কারণ বিশ্বাস তথা ঈমানের এমন ধরণের একটি মূলনীতিকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তা তখন বিশেষভাবে অনুভূত হয়নি। তথাপি কুরআন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ছাহাবীগণের ব্যাখ্যামূলক বর্ণনা দ্বারা তাওহীদের শ্রেণীবিভাগগুলোর ভিত্তিমূল দৃঢ়ভাবে স্থাপিত হয়েছে। ছাহাবীগণের সময় থেকে বাতিল ধর্মমত ও বিভিন্ন দর্শনের কুপ্রভাবে মুসলিমদের ঈমান ও আক্বীদায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ফলে প্রকারন্তরে ইসলামের বিশুদ্ধ ও নির্ভেজাল তাওহীদের উপর আক্রমণের সূত্রপাত ঘটে। অন্যদিকে কতিপয় ব্যক্তি বাহ্যিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করে গোপনে ইসলামকে ধ্বংস করার প্রয়াস পায়, কারণ তারা সামরিক শক্তি প্রয়োগের দ্বারা ইসলামের প্রচার ও প্রসারকে বাধা দিতে অক্ষম ছিল। এ দলটি ঈমানের প্রথম ভিত্তি তাওহীদকে ধ্বংস করার মাধ্যমে পুরো ইসলামকেই নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে মুসলিম জনগণের মধ্যে গোপনে গোপনে আল্লাহ সম্পর্কে বিকৃত ও ধ্বংসাত্মক মতবাদ প্রচারে লিপ্ত হয়। মূলত এসব ভ্রান্ত ফের্কার ভ্রান্ত আক্বীদা থেকে আত্মরক্ষার উপকরণ হিসাবে তাওহীদের শ্রেণী বিন্যাস ও পরিভাষার অভ্যুদয় ঘটে (তাওহীদের মূল নীতিমালা, পৃ. ১৮-২১)। যার কারণে কুরআনের এজাতীয় অসংখ্য বর্ণনা ও ছাহাবী-তাবিঈগণের তাফসীরের আলোকে পরবর্তীতে ‘তাওহীদ’-কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে (মাদারিজুস সালিকীন বাইনা মানাযিলি ইয়্যাকা না‘বূদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৩; শারহুল আক্বীদা আত-ত্বহাবীয়া, পৃ. ৭৭; ফাতহুল মাজীদ শারহু কিতাবিত তাওহীদ, পৃ. ১৭)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ, ওয়ারী, ঢাকা।