উত্তর: স্বামী-স্ত্রী কিংবা অন্যান্যের মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য জাদু, তন্ত্রমন্ত্র বা বশীকরণ করা হারাম। রাসূল (ﷺ)-এর কোন এক স্ত্রী থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
مَنْ أَتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ، لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أرْبَعِيْنَ لَيْلَةً
‘যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে আসল, অতঃপর তাকে (ভাগ্য সম্পর্কে) কিছু জিজ্ঞাসা করল এবং গণকের কথাকে সত্য বলে বিশ্বাস করল, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার কোন ছালাত ক্ববুল হবে না’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে আসল, অতঃপর গণক যা বলল তা সত্য বলে বিশ্বাস করল, সে মূলত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর যা নাযিল করা হয়েছে তা অস্বীকার করল’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২২৩০; আবূ দাঊদ, হা/৩৯০৪; তিরমিযী, হা/১৩৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৫৩৬; ছহীহুত তারগীব, হা/৩০৪৮-৩০৪৯; ছহীহুল জামি‘, হা/৫৯৪০)। পক্ষান্তরে জাদু ও তন্ত্রমন্ত্র সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘সাতটি ধ্বংসাত্মক বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। তার মধ্যে একটি হল- ‘যাদু’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৭৬৬, ৬৮৫৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯)।
বাজালা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমি আহনাফ ইবনু কায়িসের চাচা জাযই ইবনু মু‘আবিয়ার সচিব ছিলাম। ‘উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর মৃত্যুর এক বছর পূর্বে তার লেখা একটি পত্র আমাদের কাছে আসে। পত্রের বিষয়বস্তু এরূপ, ‘প্রত্যেক যাদুকরকে হত্যা করবে, প্রত্যেক মুহরিম অগ্নিপূজারী স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ ছিন্ন করবে এবং তাদেরকে যামযামা থেকে বিরত রাখবে’। অতঃপর ‘আমরা একদিনে তিনজন জাদুকরকে হত্যা করি...’ (আবূ দাঊদ, হা/৩০৪৩)।
সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ, শাইখ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও শাইখ মুহাম্মাদ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে তাবীয-কবয করা ও লটকানো বা পরিধান করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো পূর্ববর্তী মুশরিকদের আমলের ন্যায়’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১/২১২; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ২৮/২৯২ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১০৪১১১)।
প্রশ্নকারী : আব্দুছ ছামাদ, খুলনা।