বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন
উত্তর : রামাযান মাসের ক্বাযা ছিয়াম যত দ্রুত সম্ভব আদায় করে নেয়া উচিত। কেননা আল্লাহ্ তা‘আলা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, اُولٰٓئِکَ یُسٰرِعُوۡنَ فِی الۡخَیۡرٰتِ وَ ہُمۡ لَہَا سٰبِقُوۡنَ ‘তারাই কল্যাণকর কাজ দ্রুত সম্পাদন করে এবং তারাই তার প্রতি অগ্রগামী হয়’ (সূরা আল-মুমিনূন : ৬১)। তবে আগামী রামাযান আগমনের পূর্বেই অর্থাৎ শা‘বান মাস পর্যন্ত বছরের যে কোন দিনে করা জায়েয (আল-হিদায়াহ, ১/১২৭ পৃ.; বাদায়িউছ ছানায়ী, ২/১০৪; ফাৎহুল ক্বাদীর, ২/৩৫৫; আহকামুল কুরআন, ১/১৪৭; আল-মাজমূঊ, ৬/৩৬৫; আল-ইনছাফ, ৩/৩৩৪ পৃ.)।

ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) ছিয়াম অধ্যায়ে, (بَاب مَتَى يُقْضَى قَضَاءُ رَمَضَانَ) রামাযানের ক্বাযা কখন আদায় করতে হবে? নামে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন (৩০/৪০)। অতঃপর তিনি নিম্নোক্ত হাদীছটি বর্ণনা করেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,

كَانَ يَكُوْنُ عَلَيَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَ إِلَّا فِيْ شَعْبَانَ قَالَ يَحْيَى الشُّغْلُ مِنْ النَّبِيِّ أَوْ بِالنَّبِيِّ ﷺ

‘আমার উপর রামাযানের যে ক্বাযা ছিয়াম থাকতো তা পরবর্তী শা‘বান ব্যতীত আমি আদায় করার সুযোগ পেতাম না। ইয়াহ্ইয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ)-এর ব্যস্ততার কারণে অথবা নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে ব্যস্ত থাকার কারণে’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, আমাদের কেউ (ঋতুস্রাব, প্রসবোত্তর স্রাব ইত্যাদি কারণে) রামাযান মাসের ছিয়াম পালন করতে পারত না, অতঃপর তার ঐ ক্বাযা আদায় করার সুযোগ পাওয়ার পূর্বেই শা‘বান মাস এসে যেত’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৫০; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৪৬; নাসাঈ, হা/২১৭৮, ২৩১৯; আবূ দাঊদ, হা/২৩৯৯; তিরমিযী, হা/৭৮৩; ইবনু মাজাহ, হা/১৬৬৯)।

শায়খ আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এখানে আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর বাহ্যিক উক্তি থেকে এ কথাই পরিস্ফুটিত হয় যে, তাঁর ব্যস্ততা না থাকলে ছুটে যাওয়া ছিয়াম সত্বরই ক্বাযা করতেন। এ থেকে বুঝা যায় যে, যার কোন সমস্যা-অসুবিধা নেই, তার জন্য দেরী না করে তাড়াতাড়ি ক্বাযা আদায় করে নেয়াই অধিক উত্তম’ (তামামুল মিন্নাহ, পৃ. ৪২২)।

প্রশ্নকারী : আশরাফ, যশোর।





প্রশ্ন (২৯) : রামাযান মাসে জামা‘আতের সাথে তারাবীহ উত্তম, না একাকী তাহাজ্জুদ উত্তম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৯) : হজ্জের সময় মক্কায় প্রবেশ করার পূর্বে যদি তার মাসিক শুরু হয়ে যায়, তাহলে তিনি কী করবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : মসজিদের ফরয ছালাত কিংবা জুম‘আর ছালাতের পর কেউ কেউ পিতা-মাতা বা নিজের রোগমুক্তির জন্য সবার কাছে দু‘আ চায়। অনেকে ইমামের নিকট পত্র লিখে দু‘আ চায়। এভাবে কেউ দু‘আ চাইলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : মাদরাসায় যাকাতের টাকা দেয়া যাবে কি? মাদরাসার ভবন নির্মাণ বা জমি কেনার কাজে ব্যবহার করলে বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : জনৈক ব্যক্তির জীবনে রাশি রাশি পাপে ভরপুর। বর্তমানে সে এক জটিল রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা নেয়ার বহু চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। ডাক্তার বলেছেন, এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। এ পর্যায়ে এসে তিনি অত্যন্ত অনুতপ্ত এবং গুনাহ থেকে তওবা করতে ইচ্ছুক। এমন ব্যক্তির তওবা শুদ্ধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : কুরবানীর পশুর গলায় লাল ফিতা বেঁধে দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : জনৈক ব্যক্তি ওয়েব সাইট ডেভলপার এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। মৌলিকভাবে এসব কাজ হারাম না। তবে স্পষ্ট হারাম যেমন সূদ ভিত্তিক ব্যাংক, মাদক, জুয়া, যৌনতা ইত্যাদি বাদ দিয়ে যেকোন ওয়েব সাইটের কাজ করলে কি তা হালাল হবে? এছাড়া কোন্ কোন্ বিষয়ের সংমিশ্রণ হলে ইনকাম হারাম হয়ে যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : ফরয ছালাতের পর ১৯ বার ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : পিতার চার কন্যা সন্তান, কোন ছেলে নেই। সে কি তার সমস্ত সম্পত্তি চার কন্যা সন্তানের মধ্যে জীবিত থাকাকালে ভাগ করে দিতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : জেহরী ছালাতে ইমাম আমীন বলতে ভুলে গেলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে না বললে মুক্তাদীগণের আমীন বলতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : নাপাক বা ওযূবিহীন অবস্থায় ইমামতি করলে ইমাম-মুক্তাদি উভয়কেই পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে? নাকি শুধু ইমাম আদায় করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ইমাম আবূ হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) সম্পর্কে কেমন আক্বীদা পোষণ করা উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ