উত্তর : জামহূর আলিমের মতানুযায়ী হাতে চুমু খাওয়া মাকরূহ, বিশেষতঃ সেটা যদি অভ্যাসগত হয়। আর যদি মাঝে মধ্যে কোন কোন সাক্ষাতে করা হয়, তাহলে এতে কোন অসুবিধা নেই। সেটা যদি কোন নেককার ব্যক্তির সাথে, নেককার আমীরের সাথে, পিতার সাথে কিংবা এমন মর্যাদাবান অন্য কারো সাথে করা হয় তাতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু অভ্যাসে পরিণত করা মাকরূহ। কোন কোন আলিমের মতানুযায়ী, দেখা হলেই অভ্যাসগতভাবে সব সময় করা হারাম। কখনও কখনও করলে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু হাতের উপর সাজদাহ দেয়া এবং কপালকে হাতের উপরে রাখা এ ধরণের সাজদাহ হারাম। এটাকে বিদ্বানগণ ছোট সাজদাহ (السجدة الصغرى) নামকরণ করেছেন। এটি জায়েয নয়, কেউ তার কপাল কোন মানুষের হাতের উপরে রেখে সাজদাহ দিবে! এরূপ সাজদাহ নাজায়েয। কিন্তু মুখ দিয়ে চুমু খাওয়া জায়েয, যদি সেটা অভ্যাসগত না হয়। যদি এটি কদাচিৎ হয় তাহলে এ বিষয়টি সহজ। কিন্তু যদি অভ্যাসে পরিণত হয় তাহলে এটি মাকরূহ কিংবা হারাম।
কাউকে দেখে রুকুর ন্যায় মাথা নোয়ানো এটি জায়েয নয়। কেননা রুকূ‘ একটি ইবাদত, তাই কারোর জন্য মাথা নোয়ানো জায়েয নয়। যখনই কেউ সম্মান প্রদর্শনের জন্য মাথা নোয়াবে সেটা জায়েয হবে না। বরং এর দ্বারা সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্য করলে শিরক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নবী (ﷺ) হতে বর্ণিত, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! কোন লোকের সাথে সাক্ষাৎ হলে কি আমি তার জন্য মাথা নোয়াব? তিনি বললেন, ‘না’। লোকটি বলল, আমি কি তাকে আলিঙ্গন করব ও চুমু দিব? তিনি বললেন, ‘না’। লোকটি বলল, আমি কি তার হাত ধরব ও মুসাফাহ করব? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’ (তিরমিযী হা/২৭২৮, সনদ হাসান; ফাতাওয়া নুরুন ‘আলাদ দারব, ১/৪৯১-৪৯২ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৩৩৪৮৭)।
প্রশ্নকারী : যিয়া, গোপালগঞ্জ।