শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন
উত্তর : ইসলামে সম্পদ খরচের ক্ষেত্রে কৃপণ হওয়া যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি প্রাচুর্যের সময় অপচয়-অপব্যয় করে সম্পদ খরচ করাও নিষিদ্ধ। আল্লাহ তা‘আলা অপচয় ত্যাগের কঠোর নির্দেশ জারি করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা আহার এবং পান করো, আর অপচয় করো না; তিনি (আল্লাহ) অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না’ (সূরা আল-আ‘রাফ: ৩২)। অপচয় এবং কৃপণতা দুটোই ইসলামে অনুনমোদিত। এই দুই প্রান্তিকতার মাঝখানে মধ্যমপন্থা হিসাবে মিতব্যয়ী হয়ে ভবিষ্যতের জন্য কিছু অর্থ সঞ্চয় করে রাখা ইসলামের শিক্ষা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘(রহমানের বান্দা তো তারাই) যারা অপব্যয়ও করে না আবার কৃপণতাও করে না। তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী’ (সূরা আল-ফুরক্বান: ৬৭)।

মনে রাখতে হবে, সঞ্চয় করতে গিয়ে কৃপণের তালিকায় যেন নাম না উঠে। স্ত্রী, সন্তান-সন্ততির ভরণপোষণ, পিতামাতার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের মত আল্লাহ নির্দেশিত খাতে খরচ করতে অবহেলাই হলো- প্রকৃত কৃপণতা। অনেকে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচটুকু করতে করে না, অভাবগ্রস্তকে কিছু দান করে না; যরূরী দ্বীনি কাজে অর্থ ব্যয় করে না- তাকেও কৃপণ বলা হয়। বস্তুত হালাল-হারামের বিধিনিষেধ মেনে খরচকে সীমাবদ্ধ করতে হবে। প্রাচুর্যের সময় খরচের উৎসবে মেতে না উঠে অপ্রয়োজনীয় কিংবা হারাম খরচ বাদ দিয়ে মিতব্যয়িতার পথ অবলম্বন করে উদ্ধৃত অর্থ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে হবে। যেন পরে নিজের প্রয়োজনে অন্যের কাছে হাত পাতার মত পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তুমি (কৃপণতাবশে) নিজের হাত ঘাড়ের সঙ্গে বেঁধে রেখে একেবারে ব্যয়-কুণ্ঠ হয়ো না। আবার (অপব্যায়ী হয়ে) একোবরে মুক্তহস্তও হয়ো না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে বসে থাকবে’ (সূরা বানী ইসরাঈল: ২৯)। আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘উত্তম দান তাই, যা নিজ অভাবমুক্ততা রক্ষার সঙ্গে হয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৪২৬)।

কৃপণ না হয়ে মিতব্যয়ী হয়ে সঞ্চয় করলে হাজার কোটি টাকার মালিক হতেও ইসলাম নিষেধ করে না। সঞ্চিত অর্থ থাকলেই তো অর্থনির্ভর আমলগুলো করা যাবে। ছিয়াম পালনকারীকে ইফতার করানো যাবে। শরিক হওয়া যাবে জনকল্যাণমূলক নানা কাজে। চালু করা যাবে ছাদাক্বায়ে জারিয়ার অফুরন্ত ধারা। আবার উদ্ধৃত অর্থ যখন নেছাব পরিমাণ হবে এবং তা বর্ষপূর্তি হবে তখন সেখানে এসে যাবে যাকাতের মত আরেকটি মহান ইবাদতের সুযোগ।


প্রশ্নকারী : আব্দুর রহীম, বরিশাল।





প্রশ্ন (৩৭) : ফিতরার পরিমাণ কতটুকু? অর্ধ ছা‘ ফিতরা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬): সমাজে বহুলভাবে প্রচলিত আছে এবং বিভিন্ন ডাক্তারও বলে থাকেন যে, স্বামী ও স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ যদি এক হয়, তাহলে তাদের বাচ্চা বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধী হয়। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : প্রচলিত আছে যে, ‘জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বলেছেন, পৃথিবীতে বৃষ্টি হলে কত ফোটা পানি পড়ে, আমি তা গুণতে পারি, কিন্তু যৌবনের ইবাদতের ছওয়াব গুণে শেষ করতে পারি না’। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : জনৈক এক আলেম বলেছেন, দু‘আয়ে কুনুত ছাড়া বিতর ছালাত হবে না। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? বিতর ছালাত দু‘আয়ে কুনুত ছাড়া শুদ্ধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : কোন মুসলিম নামের সাথে prince ব্যবহার করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭): ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে কথা বলা এবং তার দিকে তাকানো কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : হাদীছে বলা হয়েছে যে, খারিজীরা জাহান্নামের কুকুর (ইবনু মাজাহ, হা/১৭৬; সনদ ছহীহ)। কুকুর বলে কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : রিযিক বৃদ্ধির কোন আমল আছে কি? কী কী উপায়ে রিযিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : জনৈক মুফতি বলেন, যে নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। অন্যথা কুরবানী করা লাগবে না। এর অর্থ হল, তার কাছে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা তার সমপরিমাণ জমানো টাকা থাকা লাগবে। এই ফৎওয়া অনুযায়ী অনেকেই তো কুরবানী করা থেকে বঞ্চিত হবে। উক্ত ফৎওয়া কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : শরী‘আতে হালাল-হারাম ঘোষণা করার অধিকার কার? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮): হাদীছে শুধু সোনা ও রূপার নিছাব বর্ণিত হয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা টাকার বা কাগুজে মুদ্রার নিছাব কিভাবে নির্ণয় করব, স্বর্ণের নিছাবের ভিত্তিতে, না-কি রৌপ্যের নিছাবের ভিত্তিতে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : যে নারী ক্বাযা ছিয়াম পালন করার আগেই গর্ভবতী হয়ে গেছেন এবং আগত রামাযানেও তার পক্ষে ছিয়াম রাখা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় পূর্বের ক্বাযা ছিয়াম ও আগত ছিয়ামের হুকুম কী হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ