উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে পাকা চুলে কাল খেযাব বা কলপ ব্যবহার করা বৈধ নয় (ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৬৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘শেষ যামানায় একদল লোক কবুতরের বুকের রঙের ন্যায় কাল কলপ ব্যবহার করবে। এ কারণেই তারা জান্নাতের কোন সুগন্ধিও পাবে না (আবূ দাঊদ, হা/৪২১২)। আর চুলে খেযাব বা কালো রং ব্যবহারের মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন সাধন করা হয়। যাদেরকে আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন সর্বাধিক পরিমাণ শাস্তি দিবেন (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৫৬; ছহীহ মুসলিম, হা/২১০৭; নাসাঈ, হা/৫৩৫৬; মিশকাত, হা/৪৪৯৫)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, মক্কাহ বিজয়ের দিন আবূ কুহাফাকে আনা হল। এ সময় তার মাথার চুল ও দাড়ি ছাগামাহ (গাছের) মত একেবারে সাদা ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, খেযাব লাগিয়ে এগুলো পরিবর্তন কর কিন্তু কালো রং বর্জন কর (ছহীহ মুসলিম, হা/২১০২; আবূ দাঊদ, হা/৪২০৪; নাসাঈ, হা/৫২৪২; ইবনু মাজাহ, হা/৩৬২৪)। তবে মেহেদীর রং হল সর্বোত্তম খেযাব (আবূ দাঊদ, হা/৪২০৫; তিরমিযী, হা/১৭৫৩; মিশকাত, হা/৪৪৫১, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য যে, নারীদের ক্ষেত্রেও একই বিধান (ছহীহ মুসলিম, হা/২১০২)। এছাড়া পাকা চুলের অনেক বরকতপূর্ণ মর্যাদা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা পাকা চুল তুলে ফেলো না। কেননা পাকা চুল হল মুসলিমদের জ্যোতি। কোন মুসলিমের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লিখেন, একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তার একটি পাপ মোচন করেন (মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৯৬২; মিশকাত, হা/৪৪৫৮, সনদ হাসান)। অন্য বর্ণনায় আছে, ‘পাকা চুল মুসলিমদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন নূর হবে’ (তিরমিযী, হা/১৬৩৪-১৬৩৫; নাসাঈ, হা/৩১৪৪; মিশকাত, হা/৪৪৫৯, সনদ ছহীহ)।