উত্তর : তিরমিযীতে বর্ণিত উক্ত হাদীছটি যঈফ, যা আমলযোগ্য নয়। এর সনদে হায়ছাম ইবনু রাবী ও ছালেহ মুর্রী নামে দুইজন দুর্বল রাবী আছে (তুহফাতুল আহওয়াযী দ্রঃ)। ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) উক্ত হাদীছ উল্লেখ করে বলেন, কেউ কেউ হাদীছে (الحال المرتحل) দ্বারা পবিত্র কুরআন খতম করার পর পুনরায় সূরা আল-ফাতিহা ও সূরা আল-বাক্বারার কিছু অংশ পড়াকে বুঝেছেন। অথচ এমন বুঝ কোন ছাহাবী বা তাবেঈ বুঝেননি। এমননকি কোন ইমামও এটাকে পসন্দ করেননি। বরং হাদীছের বুঝ হল এমন যে, মুজাহিদরা যখন কোন যুদ্ধ শেষ করে আসতেন, পরবর্তী যুদ্ধের জন্য তারা আবার প্রস্তুত থাকতেন। কোন কোন ক্বারী পবিত্র কুরআনের সাথে সম্পৃক্ত করে এমনটা বুঝেছেন, তা একবারেই ঠিক না (ই‘লামুল মুয়ক্কেঈন, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮৯; তুহফাতুল আহওয়াযী, ৭ম খণ্ড, পৃ. ২৬৪; সিলসিলা যঈফাহ, হা/৬১৩৪)। অতএব কুরআন খতম করে হাদীছে বর্ণিত এই দু‘আ পাঠ করবে- سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ لَا إِلٰهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ । সেই সাথে সৎ আমল হিসাবে তেলাওয়াতকে অসীলা করে ক্ষমা চাইতে পারে এবং নিজের ইচ্ছামত দু‘আ করতে পারে (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৭৪; রওযাতুল মুহাদ্দিছীন, হা/৪৬৬১; শু‘আবুল ঈমান, হা/১৯০৭)।
প্রশ্নকারী : মাযহারুল ইসলাম, শিবগঞ্জ, বগুড়া।