উত্তর : রুটি ও খাবার নে‘মতের অন্তর্ভুক্ত; যে নে‘মতগুলোর শুকরিয়া আদায় করা, সংরক্ষণ করা উচিত। এর অবমাননা করা যাবে না। এগুলোকে ডাস্টবিনে ফেললে তাকে অসম্মান করা হয় এবং এগুলোর পেছনে ব্যয়কৃত অর্থকে নষ্ট করা হয়। সঠিক কাজ হল, গরীব যারা এগুলো থেকে উপকৃত হতে পারবে তাদেরকে এগুলো দিয়ে দেয়া কিংবা চতুষ্পদ জন্তুদেরকে দেয়া কিংবা আলাদা পলিথিনে রেখে দেয়া যাতে করে পরিচ্ছন্ন কর্মী জানতে পারে যে, এতে সম্মানজনক খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। যাতে করে সেগুলো যারা মুরগী ও পশু পালে (যেমনটি কোন কোন দেশে পালন করা হয়) তাদেরকে দিয়ে দিতে পারে। নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক তাজা কলিজাধারীর (প্রত্যেক প্রাণধারীর) প্রতি ইহসানের মধ্যে ছওয়াব রয়েছে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৩৬৩; ছহীহ মুসলিম, হা/২২৪৪)। শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘রুটি, গোশত ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য ড্রেনে ফেলা জায়েয নয়। বরং সেগুলো গরীব কাউকে দেয়া আবশ্যকীয় কিংবা এমন কোন স্থানে রাখা যেখানে সেগুলোর অসম্মান হবে না। হতে পারে কেউ সেগুলো তার পশুপালের জন্য নিয়ে যাবে। কিংবা কোন পশুপাখি এসে সেগুলো খেয়ে ফেলবে। সেগুলোকে ডাস্টবিনে ফেলা কিংবা ময়লার স্থানে ফেলা বা রাস্তায় ফেলা জায়েয নয়। যেহেতু এতে এগুলোর অমর্যাদা হয় এবং রাস্তার উপর ফেললে এ গুলোর অসম্মান হয় এবং পথচারীদের কষ্ট হয়’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া লি ইবনি বায, ২৩/৩৯ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : সাব্বির, বগুড়া।