উত্তর : যে ছেলে বা মেয়ে দুধপান করেছে তার অন্যান্য ভাই অথবা বোনের সঙ্গে ঐ দুধমাতার ছেলে বা মেয়ের বিবাহ বন্ধনে সমস্যা নেই। কারণ স্তন্যপানের কারণে শুধু তার সঙ্গে দুধমাতার পরিবারের লোকজনের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অন্যান্য ভাই-বোনের সঙ্গে দুধমাতার ছেলে-মেয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। স্তন্যপান সম্পর্কে একটি উপকারী কায়িদাহ বা মূলনীতি হল- যে ছেলে বা মেয়ে দুধপান করেছে তার পিতা-মাতা আছে, ভাই-বোন আছে, চাচা-ফুফু আছে, মামা-খালা আছে, এই সম্পর্কগুলো কিন্তু অবাধভাবে স্তন্যপানের কারণে প্রভাবিত হয় না। সুতরাং স্তন্যপানের প্রভাব শুধু তার এবং তার সন্তান-সন্ততিদের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া তার মূল সম্পর্ক, যেমন পিতা-মাতা, দাদা-দাদী ইত্যাদির উপর এর প্রভাব পড়ে না। অনুরূপভাবে তার পার্শ্বসম্পর্ক, যেমন ভাই-বোন, চাচা-ফুফু, মামা-খালা ইত্যাদির উপরেও এর কোন প্রভাব পড়ে না। সেই জন্য যদি আপনি কোন মহিলার স্তন্যপান করেন, তাহলে ঐ মহিলার ছেলে-মেয়েরা শুধু আপনার জন্যই হারাম হবে, পক্ষান্তরে আপনার ভাই-বোনের জন্য হালাল। কেননা সাধারণভাবে তাদের মধ্যে আর আপনার ভাই-বোনদের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই’ (ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়িমাহ, ১৮/৩৬১-৩৬২, ২১/৬৫ ও ২১/১২৭-১২৮; আল-লিক্বাউশ শাহরী ইবনে উছাইমীন, লিক্বা নং-১৭, মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ২২/২৮৭ পৃ.)।
আর দুধের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কমপক্ষে পাঁচবার স্পষ্টাকারে পৃথক পৃথকভাবে স্তন্যপান করানো শর্ত (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৫২; নাসাঈ, হা/৩৩০৭)। আর এটা প্রমাণিত হওয়ার জন্য একজন নারী অথবা একজন পুরুষের সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই দুধের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। অথবা শুধু দুধ পানকারিণীর সাক্ষ্য যথেষ্ট হবে (কাশশাফুল ক্বিনা‘, ৫/৪৫৬; মাত্বালিবু আওলান নূহা, ৫/৬১২)।
প্রশ্নকারী : আবু বকর সিদ্দীক, চাটখিল, নোয়াখালী।