উত্তর : এক সফরে একটিই ওমরাহ করবেন। এটাই ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। এক সফরে একাধিক ওমরাহ করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) যখন ওমরাহ করার জন্য বারবার বলতে লাগলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার ভাই আব্দুর রহমানকে বললেন, একে তানঈম নিয়ে গিয়ে ইহরাম বেঁধে নিয়ে আস, যাতে করে সে ওমরাহ করতে পারে (ছহীহ বুখারী, হা/১৬৫১; মিশকাত, হা/২৫৫৬)। কিন্তু আব্দুর রহমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হারামের বাইরে গেলেও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ওমরাহ করতে বলেননি। যদি বিষয়টি শরী‘আত সম্মত হত, তবে রাসূল (ﷺ) তাকেও ওমরার ইহরাম বাঁধতে বলতেন। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর ফাতাওয়া গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, সালাফে ছালেহীনের ঐকমত্যে বেশি পরিমাণে ওমরাহ করা মাকরূহ, বিশেষ করে যদি এটা রামাযান মাসে হয়। বিষয়টি যদি পসন্দনীয় হত, তবে তারা তো এ ব্যাপারে অধিক অগ্রগামী হতেন এবং বারবার ওমরাহ করতেন। উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করতেন। নেকীর কাজকে সর্বাধিক ভালোবাসতেন। তিনি মক্কা বিজয়ের সময় ঊনিশ দিন সেখানে অবস্থান করেছেন এবং ছালাত আদায় করেছেন। কিন্তু কোন ওমরাহ করেননি (ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্ন নং-৪৯৪)। দুই ওমরার মাঝের ব্যবধান সম্পর্কে ইমাম আহমাদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, দেখবে যে পর্যন্ত মাথা পোড়া কাঠের মত কালো না হয়। অর্থাৎ মাথা ভর্তি চুল না হয় (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ২২/২৫৬ পৃ., প্রশ্ন নং-৭৬৯)। উল্লেখ্য যে, অন্য কোন প্রয়োজনে কেউ মীক্বাত অতিক্রম করলে তিনি চাইলে ইহরাম বেঁধে উমরা করতে পারবেন মর্মে কোন কোন বিদ্বান জায়েয বলেছেন।
প্রশ্নকারী : মামুনুর রশীদ, রাজশাহী।