উত্তর : দু‘আকারীর জন্য মুস্তাহাব হল দু‘আর প্রারম্ভে আল্লাহ তা‘আলার হামদ ও রাসূল (ﷺ)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করা, অতঃপর তার মনস্কামনা অনুযায়ী চাওয়া। পরিশেষে আবার আল্লাহ তা‘আলার হামদ ও রাসূল (ﷺ)-এর প্রতি দরুদ পাঠের মাধ্যমে সমাপ্ত করা। দু‘আতে এর প্রভাব খুবই বেশি এবং ক্ববুলের একটি বড় সহায়ক (আল-আযকার লিন নাবাবী, পৃ. ১৭৬; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২১৯২৮)। ছাহাবী ফাযালাহ ইবনে উবাইদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একদা রাসূল (ﷺ) এক ব্যক্তিকে ছালাতের মধ্যে দু’আকালে আল্লাহর বড়ত্ব, গুণাবলী বর্ণনা এবং নবী (ﷺ)-এর প্রতি দরূদ পাঠ করতে শুনলেন না। রাসূল (ﷺ) বললেন, এ ব্যক্তি তাড়াহুড়া করেছে। অতঃপর তিনি ঐ ব্যক্তিকে অথবা অন্য কাউকে বললেন, তোমাদের কেউ ছালাত আদায়কালে যেন সর্বপ্রথম তার প্রভুর মহত্ব, প্রশংসা বর্ণনা করে এবং পরে নবী (ﷺ)-এর উপর দরূপ পাঠ করে, অতঃপর ইচ্ছানুযায়ী দু‘আ করে’ (আবূ দাঊদ, হা/১৪৮১; তিরমিযী, হা/৩৪৭৭)। আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ)-এর প্রতি দরুদ পাঠ না করা পর্যন্ত দু‘আ আড়ালকৃত অবস্থায় থাকে (ছহীহুল জামি‘, হা/৪৫২৩)। উমার ইবনু খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নিশ্চয় দু‘আ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের মাঝে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে, তোমার নবী (ﷺ)-এর উপর প্রতি যতক্ষণ তুমি দরূদ পাঠ না কর ততক্ষণ তার একবিন্দুও উপরে উঠতে পারে না’ (তিরমিযী, হা/৪৮৬; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২০৫৩)।
দ্বিতীয়তঃ হামদ ও দরূদ পাঠের মাধ্যম হিসাবে কুরআন ও ছহীহ হাদীছে অসংখ্য দুআ বা বাক্য বর্ণিত হয়েছে। হামদের জন্য দেখুন সূরা ফাতিহা, ছহীহ বুখারী, হা/৬৩১৭, ছহীহ মুসলিম, হা/৭৬৯, আবু দাঊদ, হা/৯৮৫, ১৪৯৫, নাসাঈ, হা/১২৯৯, ১৩০০ ইত্যাদি।
প্রশ্নকারী : মিনহাজ পারভেজ, রাজশাহী, হড়গ্রাম।