বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
উত্তর : মুসলিমদের জন্য এ সমস্ত কাজ করা হারাম। এতে ঈমান এবং ইসলাম ভঙ্গ হয়ে যাবে। কারণ এগুলো মূর্তিপূজার উৎসব, যা কুফ্র ও শিরকে পরিপূর্ণ। এ ধরনের কাজে তাদেরকে সহযোগিতা করা যাবে না এবং তাদের নীতি অবলম্বন করা যাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ায় পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরষ্পরে সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে অত্যধিক কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদা: ২)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, তারা তাদের মধ্যে গণ্য হবে (আল-মায়িদাহ ৫১)। রাসূল (ﷺ) বলেন, যে অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে (আবুদাঊদ হা/৪০৩১, সনদ ছহীহ)। ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,

لَا تَدْخُلُوا عَلَى الْمُشْرِكِينَ فِي كَنَائِسِهِمْ يَوْمَ عِيدِهِمْ فَإِنَّ السَّخْطَةَ تَنْزِلُ عَلَيْهِمْ

তোমরা মুশরিকদের উৎসবের দিন তাদের উপাসনালয়ে প্রবেশ কর না। কারণ তাদের উপর গযব নাযিল হয় (বাহয়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা হা/১৮৮৬১, সনদ ছহীহ)। অন্যত্র তিনি বলেন,

اجْتَنِبُوا أَعْدَاءَ اللهِ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى فِي عِيدِهِمْ يَوْمَ جَمْعِهِمْ , فَإِنَّ السَّخَطُ يَنْزِلُ عَلَيْهِمْ فَأَخْشَى أَنْ يُصِيبَكُمْ

তোমরা আল্লাহর শত্রু ইহূদী-নাছারাদের উৎসব থেকে বিরত থাক। কারণ তাদের উপর গযব নাযিল হয়। আমি আশঙ্কা করছি যে, সেই গযব তোমাদের উপরেও নাযিল হবে (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৮৯৪০)। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,

مَنْ بَنَى بِبِلَادِ الْأَعَاجِمِ وَصَنَعَ نَيْرُوزَهُمْ وَمِهْرَجَانَهُمْ وَتَشَبَّهَ بِهِمْ حَتَّى يَمُوتَ وَهُوَ كَذَلِكَ حُشِرَ مَعَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ "

যে ব্যক্তি অমুসলিম দেশে বাড়ী তৈরি করবে এবং তাদের অনুকরণে নববর্ষ ও তাদের উৎসব পালন করে মারা যাবে, ক্বিয়ামতের দিন তাকে তাদের সাথেই উঠানো হবে (বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা হা/১৮৮৬৩, সনদ ছহীহ)। ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, وَأَمَّا التَّهْنِئَةُ بِشَعَائِرِ الْكُفْرِ الْمُخْتَصَّةِ بِهِ فَحَرَامٌ بِالِاتِّفَاقِ কাফেরদের বিশেষ প্রতীক ব্যবহার করে শুভেচ্ছা জানানো সকলের ঐকমত্যে হারাম (আহকামু আহলিয যিম্মাহ, ১/৪৪১ পৃ.)। উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

يحرم على المسلمين التشبه بالكفار بإقامة الحفلات بهذه المناسبة، أو تبادل الهدايا أو توزيع الحلوى، أو أطباق الطعام، أو تعطيل الأعمال ونحو ذلك

কাফেরদের অনুকরণে উৎসব আয়োজন করা, শুভেচ্ছা বা উপহার বিনিময় করা, মিষ্টান্ন বিতরণ, রকমারি খাদ্য তৈরী করা, ছুটি ঘোষণা করা মুসলিমদের জন্য হারাম (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/৪৬ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : মুনীর, ময়মনসিংহ।





প্রশ্ন (৪২) : শরীরের অবয়ব প্রকাশ পায় এমন পাতলা কাপড় পরিধান করে নারী-পুরুষ ছালাত আদায় করলে ছালাত হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : পিতা-মাতা যদি সন্তানকে ক্ষমা না করে, তাহলে কী করণীয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : যিলহজ্জ মাসে আইয়ামে বীযের নফল ছিয়াম কিভাবে রাখবো? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৯ বছর। প্রথম সন্তান মেয়ে হয়ে মারা গেছে। এটা কি আমার জন্য কোন বিপদ? সন্তান লাভের কোন বিশেষ আমল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : সমাজে জয়ত্রি এবং জায়ফল দিয়ে বিভিন্ন খাবার রান্না করে খাওয়ার প্রচলন আছে। এটা খাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ফজরের ছালাতে ২য় রাক‘আতে ইমাম ৩টা সিজদা দেন। মুছল্লীদের কেউ লোকমা দেননি। এভাবে ছালাত শেষ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : মেয়েদের মাসিক অবস্থায় কুরআনের হিফয ক্লাস কিভাবে করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর সমস্ত সম্পদ কি তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দিয়ে দিয়েছিলেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : মসজিদে বিয়ে পড়ানোর কি কোন ফযীলত আছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : জুমু‘আর দিনে ইমাম মিম্বারে বসেছেন এবং মুওয়াযযিন আযান দিচ্ছেন; এমতাবস্থায় কোন মুছল্লী মসজিদে প্রবেশ করলে তার করণীয় কি? সে দু’ রাকা‘আত ছালাত শুরু করবে নাকি আযানের জবাব দিবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : বিতর ছালাতের পর যে তিনবার সুব-হানাল মালিকিল কুদ্দূস বলা হয়, তা তৃতীয়বার শেষের কুদ্দূস শব্দটি শুধু টান‌ হবে, না-কি শব্দগুলো টেনে টেনে বলতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : রামাযান মাসে তারাবীহর ছালাত সর্বনিম্ন দুই রাক‘আত পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ