উত্তর : গর্ভবতী ও দুধ পানকারীণির যদি ছিয়াম রাখার কারণে তার ও বাচ্চার ক্ষতি হয়, তাহলে ছিয়াম ছেড়ে দিবে। তবে যদি এমন হয় যে, সে শুধু বাচ্চার ক্ষতির কারণে ছিয়াম ছেড়ে দিয়েছে তার ক্ষতির কারণে নয়, তাহলে ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করতে হবে এবং সাথে সাথে একজন করে মিসকীন খাওয়াতে হবে। আর যদি তার নিজের ক্ষতির কারণে হয়, তাহলে ছিয়াম ক্বাযা আদায় করলেই যথেষ্ট হয়ে যবে। এটা এ কারণে যে, গর্ভবতী এবং দুধ পানকারীণি আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণীর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ عَلَی الَّذِیۡنَ یُطِیۡقُوۡنَہٗ فِدۡیَۃٌ طَعَامُ مِسۡکِیۡنٍ ‘আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া- একজন মিসকীনকে খাবার প্রদান করা’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৪)।
ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘গর্ভবতী ও দুধ পানকারিনী এর অন্তর্ভুক্ত হবে, যখন তারা নিজেদের উপর অথবা তাদের সন্তানদের উপর ক্ষতির আশঙ্কা করবে’ (তাফসীর ইবনু কাছীর, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫০১)। ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘গর্ভবতী যদি তার বাচ্চার উপর ক্ষতির আশঙ্কা করে, তাহলে সে ছিয়াম ছেড়ে দিবে এবং প্রতিদিনের পরিবর্তে একদিন করে ক্বাযা আদায় করবে এবং মিসকীনকে এক রোতল রুটি খাওয়াবে’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া, ২৫তম খণ্ড, পৃ. ৩১৮)।
প্রশ্নকারী : জান্নাতুন আলেয়া, রাজশাহী।