উত্তর : রাসূল (ﷺ)-এর কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে মদীনায় যাওয়া যাবে না। বরং মসজিদে নববী যিয়ারতের উদ্দেশ্যে যাবে (বুখারী হা/১১৮৯)। প্রথমে নববীতে ছালাত আদায় করবে। অতঃপর নবী (ﷺ) ও তাঁর দুই সঙ্গী আবূবকর ও ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর প্রতি নিম্নের দু‘আর মাধ্যমে সালাম পেশ করবে। যেমন (১) প্রথমে নবী (ﷺ)-এর ক্ববরের কাছে গিয়ে বলবে,
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ أيُّهَا النَّبِيُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ
‘আস-সালামু ‘আলাইকা আইয়ুহান্ নাবীউ, ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’। তবে যদি আরো কিছু বাক্য অতিরিক্ত বলে, তাহলে কোন দোষ নেই, যেমন এভাবে বলা,
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا خَلِيْلَ اللهِ وَأَمِيْنَهُ عَلَى وَحْيِهِ، وَخِيْرَتَهُ مِنْ خَلْقِهِ، أَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ الرِّسَالَةَ، وَأَدَّيْتَ الْأَمَانَةَ، وَنَصَحْتَ الْأُمَّةَ، وَجَاهَدْتَ فِي اللهِ حَقَّ جِهَادِهِ
‘আস-সালামু আলাইকা ইয়া খালীলাল্লাহ! ওয়া আমীনাহু আলা ওয়াহইহী, ওয়া খীরাতাহু মিন খালকিহী। আশহাদু আন্নাকা ক্বদ বাল্লাগতার রিসালাতা, ওয়া আদ্দাইতাল আমানাতা, ওয়া নাসাহতাল উম্মাতা, ওয়া জাহাদতা ফিল্লাহি হাক্কা জিহাদিহ’। তবে যদি কেউ প্রথমটি পাঠ করেই ক্ষান্ত হয়, তাহলে তা উত্তম (ফাতাওয়া বিন বায ১৬/১০১ পৃ.)। কারণ আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) সালাম পাঠ করার সময় শুধু নিম্নের অংশটুকুই বলতেন। অতঃপর সেখান থেকে ফিরে আসতেন।
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ، السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا أَبَا بَكْرٍ، السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا أَبَتِ
‘আস-সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ! আস-সালামু ‘আলাইকা ইয়া আবা বাকর! আস-সালামু আলাইকা ইয়া আবাতি’ (বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/১০২৭১)।
(২) তারপর আবূ বকর ছিদ্দীক্ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর ক্ববরের সামনে দাঁড়াবার জন্য ডান দিকে এক কদম এগিয়ে যাবে এবং বলবে,
السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا أَبَا بَكْرٍ، السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا خَلِيْفَةَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فِيْ أُمَّتِهِ، رَضِيَ اللهُ عَنْكَ وَجَزَاكَ عَنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ خَيْرًا
‘আস্সালামু আলাইকা ইয়া আবা বাক্র! আসসালামু আলাইকা ইয়া খলীফাতা রাসূলিল্লাহী (ﷺ) ফী উম্মাতিহি, রাযিয়াল্লাহু আনকা ওয়াজাযাকা আন উম্মাতি মুহাম্মাদিন খইরান)।
(৩) তারপর উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর ক্ববরের সামনে দাঁড়াবার জন্য ডান দিকে এক কদম এগিয়ে যাবে এবং বলবে,
السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا عُمَرُ، السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ، رَضِيَ اللهُ عَنْكَ وَجَزَاكَ عَنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ خَيْرًا
‘আস-সালামু আলাইকা ইয়া উমার! আস-সালামু আলাইকা ইয়া আমীরাল মুমিনীন! রাযিইয়াল্লাহু আনকা ওয়াজাযাকা আন উম্মাতি মুহাম্মাদিন খইরান’ (বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/১০২৭১, সনদ ছহীহ)।
নবী (ﷺ) এবং তাঁর দুই ছাহাবীকে সালাম পেশ করার সময় আদব-কায়দার লক্ষ্য রেখে ধীর শব্দে সালাম পাঠ করবে। কারণ, মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা নিষিদ্ধ (আল-আযকার লিন-নাবাবী, পৃ. ১৭৪; আল-মুগনী, ৫/৪৬৬; মানাসিকুল হাজ্জ ওয়াল উমরাহ্ ওয়াল মাশরু' ফিয- যিয়ারাহ, পৃ. ১০৭-১০৮; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৩৪৫৬১)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ যুহাইর, ঢাকা।