উত্তর : এ জন্য উচিত আল্লাহ তা‘আলার নিকট বেশি বেশি দু‘আ ও তওবাহ-ইস্তিগফার করা। গভীর রাতের তাহাজ্জুদ ও অন্যান্য ছালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য-সন্তুষ্টি কামনা করা। হাদীছে বেশ কয়েকটি দু‘আ বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া ঘুমানোর সময় পড়বে-
اَللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ وَرَبَّ الْأَرْضِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيْلِ وَالْفُرْقَانِ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَيْءٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الْآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ اقْضِ عَنَّا الدَّيْنَ وَأَغْنِنَا مِنْ الْفَقْرِ
‘হে আল্লাহ! আপনি নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও মহান আরশের প্রতিপালক। আমাদের পালনকর্তা ও অন্যান্য সব কিছুর পালনকর্তা। আপনি শস্য ও বীজের সৃষ্টিকর্তা, আপনি তাওরাত, ইনজীল ও কুরআনের অবতীর্ণকারী। আমি আপনার নিকট সকল বিষয়ের অনিষ্টতা হতে আশ্রয় চাই। আপনিই একমাত্র সব বিষয়ের পরিচর্যাকারী। হে আল্লাহ! আপনিই শুরু, আপনার আগে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই এবং আপনিই শেষ, আপনার পরে কোন কিছু নেই। আপনিই প্রকাশ, আপনার ঊর্ধ্বে কেউ নেই। আপনিই বাতিন, আপনার অগোচরে কিছু নেই। আমাদের ঋণকে আদায় করে দিন এবং অভাব থেকে আমাদেরকে সচ্ছলতা দান করুন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৭১৩)।
আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একটি চুক্তিবদ্ধ গোলাম তাঁর নিকটে এসে বলে, আমার চুক্তির অর্থ পরিশোধ করতে আমি অপরাগ হয়ে পড়েছি। আমাকে আপনি সহযোগিতা করুন। তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দিব না যা আমাকে রাসূল (ﷺ) শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার উপর ‘স্বীর’ পর্বত পরিমাণ ঋণও থাকে, আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন। তিনি বলেন, তুমি বল,
اللَّهُمَّ اكْفِنِيْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِيْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হালাল দ্বারা পরিতুষ্ট করে আপনার হারাম থেকে বিরত রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ছাড়া অন্য সকলের থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দিন’ (তিরমিযী, হা/৩৫৬৩; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৬৬; ছহীহুল জামি‘, হা/২৬২৫; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮২০; মিশকাত, হা/২৩৮৪)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রহীম, সাতক্ষীরা।